গুরুং, অনীতের হাত ধরেই পাহাড়ে GTA ভোটে লড়বে তৃণমূল! কী ইঙ্গিত দিলেন মমতা ?

বিজেপির নাম না করে মঙ্গলবার পাহাড়ে দাঁড়িয়ে মমতা জানিয়েছিলেন, একটা রাজনৈতিক দল মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে ও ভোট পাওয়ার পরেই পাহাড় ছেড়ে চলে যাচ্ছে। সেকারণেই আপনাদের দিল্লির দরকার নেই, দিল্লি কা লাড্ডুর দরকার নেই, আপনাদের দার্জিলিং, কার্শিয়াং ও কালিম্পংয়ের লাড্ডু দরকার।

দার্জিলিং সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (PTI Photo) (PTI)

সামনেই জিটিএ নির্বাচন। তার আগে কার্যত ঘর গোছাতে পাহাড়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। আর এবার কার্যত পাহাড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে একসঙ্গে কাজ করার ডাক দিলেন মমতা। এর সঙ্গেই বিজেপিকেও একহাত নেন তিনি। তবে এক্ষেত্রে অবশ্য তিনি বিজেপি নাম নেননি।

দার্জিলিং চৌরাস্তায় আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাকে কথা দিন আগামী ১০ বছর আপনারা কোনও ঝগড়া, লড়াই করবেন না।শুধু উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন। আগে মানুষ তারপর রাজনৈতিক দল। বললেন মমতা। এদিকে রাজনৈতিক মহলের দাবি, এবার পুরভোটে আচমকাই পাহাড়ে উঠে এসেছে অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি। মোর্চার হাত ধরেও তৃণমূল বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি। আর সেই নিরিখেই কি এবার জিটিএ নির্বাচনের আগে সকলকে নিয়ে চলার ডাক দিলেন মমতা?

এদিকে বিজেপির নাম না করে মঙ্গলবার পাহাড়ে দাঁড়িয়ে মমতা জানিয়েছেন, একটা রাজনৈতিক দল মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে ও ভোট পাওয়ার পরেই পাহাড় ছেড়ে চলে যাচ্ছে। সেকারণেই আপনাদের দিল্লির দরকার নেই, দিল্লি কা লাড্ডুর দরকার নেই, আপনাদের দার্জিলিং, কার্শিয়াং ও কালিম্পংয়ের লাড্ডু দরকার। জিটিএ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শীঘ্রই জিটিএ নির্বাচন হবে। এদিকে সূত্রের খবর, গুরুংয়ের মোর্চা, অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ও তৃণমূল একযোগে পাহাড়ে লড়াই করতে পারে। এমনকী অনীতকে মমতার মঞ্চেও দেখা যায়।