২১শের মহারণে নন্দীগ্রাম আসনে দাঁড়িয়ে একসময়ের সহযোদ্ধা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন গোটা বাংলায় তৃণমূল কর্মীরা যখন সবুজ আবির মাখছিলেন, তখন নন্দীগ্রামে মনমরা হয়ে বসেছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। আর এতদিন পর ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেতার পরই তৃণমূল কর্মীদের আবেগ যেন আছড়ে পড়ল হলদি নদীর পাড়ে। খেলা হবে গানের তালে উদ্দাম নাচলেন তৃণমূল কর্মীরা। সবুজ আবীর মেখে এদিকে এলাকায় ঘুরলেন তৃণমূল কর্মীরা। এলাকায় মিছিলও বের হয়। সেই মিছিল থেকে মমতার নামে জয়ধ্বণি ওঠে এলাকায়। কার্যত মমতার জয়ে শুভেন্দুর গড়ে কোমর দোলালেন তৃণমূল কর্মীরা। মেচেদাতেও এদিন উল্লাসে মাতেন তৃণমূল কর্মীরা। স্থানীয় তৃণমূলর নেতা কর্মীরা বলেন, অবৈধভাবে সেদিন নেত্রীকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এতদিন পরে স্বতস্ফূর্ত উল্লাসে মাতলেন সকলেই।
এদিকে মমতা নিজেও জানিয়েছেন, ভবানীপুরের মানুষ দেখিয়ে দিলেন। ভোটে সব আসনে আমরা জিতেছিলাম। কিন্তু একটি আসন বাদ দিয়ে। তবে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কোনও কথা বলব না। অনেক চক্রান্ত হয়েছিল। বাংলার মানুষ তার জবাব দিয়েছেন। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কার্যত শুভেন্দু অধিকারীকে মিরজাফর বলে কটাক্ষ করেছেন। তৃণমূলের সাধারণ কর্মীদের দাবি, এদিন ভবানীপুর আসনে রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। নন্দীগ্রামে নেত্রীর সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছিল তারই জবাব দিয়েছেন ভবানীপুরের মানুষ।