বিজেপি ৩০টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিকে অপসারণ করেছে। তার পর থেকেই বিধায়ক থেকে নেতা বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক এককাট্টা করতে নেমে পড়েছেন মমতাবালা ঠাকুর। কারণ তিনি সুব্রত ঠাকুরদের তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার আহ্বান জানালেন। এই ঘটনা নিয়েই এখন জেলার রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা করার পর থেকেই জেলার সমীকরণ পাল্টাতে শুরু করে। বিধায়ক থেকে সংগঠনের নেতারা পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করতে শুরু করেন। আর দেখা যায় নতুন রাজ্য কমিটিতে নেই কোনও মতুয়া প্রতিনিধি। বিজেপি বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেন পাঁচ বিজেপি বিধায়ক। তাঁরা সবাই মতুয়া সম্প্রদায়ভুক্ত। এই ঘটনার পরই বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গেও দেখা করার সময় চেয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
এমন টালমাটাল পরিস্থিতিতে শান্তনু ঠাকুর, সুব্রত ঠাকুরকে তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার আহ্বান জানালেন মমতাবালা ঠাকুর। একইসঙ্গে তিনি জানান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়ার দিন রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছি। শুনেছি আমার মতো বহু বিধায়ক ও নেতা গ্রুপ ছেড়েছেন। লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়াদের সমর্থনের জন্য বাংলায় আশাতীত সাফল্য পেয়েছিল দল। কিন্তু এদিন জেলা সভাপতিদের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে কোনও মতুয়া প্রতিনিধি নেই।’
এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর রবিবার মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি তথা প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন, ‘ওঁদের পাশ থেকে মতুয়ারা সরে যাচ্ছে। এটা বুঝতে পেরেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। ওঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে স্বাগত। কিন্তু এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আমি এটুকু বলতে পারি, মতুয়াদের জন্য কেউ যদি কিছু করে থাকেন, তা হলে তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির ছলাকলা মতুয়ারা ধরে ফেলেছেন। ওঁরাও যদি এই পথে হাঁটতে চান, তা হলে স্বাগত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ওঁদের দলে ফেরান, তা হলে একসঙ্গে আরও ভাল কাজ করা যাবে।’