সালিশি সভায় এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এই মারধরের দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি পুরসভা তিন নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। আক্রান্ত যুবকের নাম আক্রাম আলি। এই ঘটনায় তিনি কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পারিবারিক বিবাদের জেরে গত বুধবার একটি সালিশি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সালিশি সভায় আক্রামকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আক্রামের মধ্যে পারিবারিক বিবাদ মূলত সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে। আক্রামের অভিযোগ, ‘আমরা তিন ভাই। এক ভাই মারা গিয়েছে কিছুদিন আগে। এখন মৃত ভাইয়ের স্ত্রী সম্পত্তির ভাগ চাওয়াকে কেন্দ্র করে বিবাদ তৈরি হয়েছে।’ জানা গিয়েছে, এই সমস্যা সমাধানের জন্য পাশের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আফসানা খাতুন সালিশি সভা ডাকেন। সেই সময় সালিশি সভা চলাকালীন কাউন্সিলর তাঁকে চড় মারেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, আক্রামকে শুধু চড় মারা হয়েছে তাই নয়, পেশায় গাড়িচালক আক্রামের গাড়ি চালানো বন্ধ করে দিয়েছেন ওই কাউন্সিলর। এছাড়াও তাঁকে লোক দিয়ে বেধড়ক মারধর করা এবং বোমা, বন্দুক নিয়ে হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর আফসানা। তিনি বলেন, ‘বোমা-বন্দুক নিয়ে কাউকে ভয় দেখানো হয়নি। এসব মিথ্যে কথা। ওদের সমস্যা মেটাতে আলোচনায় বসেছিলাম। আক্রমণ প্রথমে আমার উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করছিল। নিজেকে বাঁচাতে আমি চড় মেরেছিলাম।’
কিন্তু, ওই কাউন্সিলর পাশের ওয়ার্ডের হওয়া সত্ত্বেও কেন তিনি সালিশি সভা ডাকলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও এ বিষয়ে আফসানার বক্তব্য, ‘আক্রাম মৃত ভাইয়ের স্ত্রীকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। ওরা আমার পরিচিত। আক্রাম ঠিক কাজ করছে না।সমস্যা সমাধানের জন্য আমি সালিশি সভা ডেকেছিলাম।’ এ বিষয়ে কামারহাটি। কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান, তৃণমূলের গোপাল সাহা বলেন, ‘দল কাউকে মারধর করা সমর্থন করে না। যদি এই অভিযোগ থাকে তাকে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’