রেললাইনের ধারে বসে মদ্যপান করছিলেন দুই ব্যক্তি। সম্পর্কে তাঁরা কাকা–ভাইপো। কিন্তু মদ্যপান করে আর বাড়ি ফেরা হল না তাঁদের। কারণ রেললাইন পার করতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন হযে গেল কাকা–ভাইপোর দেহ। সেই দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা ট্রেনে ধাক্কা খান বলেই অনুমান রেল পুলিশের। নদিয়ার বেথুয়াডহরি এবং মুরাগাছা স্টেশনের মাঝে ট্রেনে কাটা পড়েন তাঁরা। কৃষ্ণনগর রেল পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
ঠিক কী ঘটেছে নদিয়ায়? রেল পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত দুই ব্যক্তির নাম সুফল মণ্ডল এবং সুখরাম মণ্ডল। সম্পর্কে তাঁরা কাকা–ভাইপো। তাঁদের বাড়ি বেথুয়াডহরি মধ্যপাড়ায়। বৃহস্পতিবার বেথুয়াডহরি এবং মুরাগাছা স্টেশনের মাঝে রেললাইনের উপর থেকে দু’জনের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তখন খবরদেন স্থানীয়রা। প্রাথমিক তথ্য যা পাওযা গিয়েছে তাতে মনে করা হচ্ছে, বুধবার রাতে লালগোলা প্যাসেঞ্জারে কাটা পড়েছেন দু’জনে। মদ্যপান করছিলেন এখানে।
কী বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা? স্থানীয় সূত্রে খবর, এই কাকা–ভাইপো প্রায়দিনই মদ্যপান করত। রেললাইনের ধারে গিয়ে চোলাই মদ কিনে খেত তারা। এখানে বেথুয়াডহরি ও মুরাগাছা স্টেশনের মাঝে রেললাইন সংলগ্ন জায়গায় চোলাই মদের ঠেক রয়েছে। সেখানেই মদ্যপান করতে গিয়েছিলেন দু’জনে। রাতে মদ্যপান করে লাইন পার হতে গেলেই বিপত্তি ঘটে। নেশার ঘোরে রেললাইনে উঠে পড়লে রাতের শেষ লালগোলা প্যাসেঞ্জার ধাক্কা মেরে বেরিয়ে যায়।
আর কী জানা যাচ্ছে? মদ্যপান করে কোন দিকে তাঁরা যাবেন সেটা বুঝতে পারেননি। তাই রেললাইনে উঠে পড়েন তাঁরা। সেখান থেকেই যাচ্ছিল লালগোলা প্যাসেঞ্জার। তীব্র গতি থাকায় তা দাঁড়াতে পারেনি। বারবার আওয়াজ দেওয়া হলেও সেটা তাঁরা শুনতে পাননি। ফলে সরাসরি ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়েন কাকা–ভাইপো। তবে এটা দুর্ঘটনা নাকি অন্য কিছু সেটা খতিয়ে দেখছে কৃষ্ণনগর রেলপুলিশ। এই ঘটনার পরই লাইনের ধারে মদের ঠেক উচ্ছেদের দাবিতে সরব হন স্থানীয়রা।