গোপন সূত্রে খবর এসেছিল আরপিএফের কাছে। এরপর ডাউন যোগবাণী এক্সপ্রেসে তল্লাশি চালায় আরপিএফের টিম। মালদার কাছে ট্রেনের সংরক্ষিত কামরাতে খাঁচার সন্ধান পায় আরপিএফের টিম। এরপর খাঁচা খুলতেই হতবাক আরপিএফ জওয়ানরা। প্রায় হাজারখানেক পাখিতে ঠাসা খাঁচাগুলি। বেশিরভাগই চন্দনা ও পাহাড়ি ময়না। আরপিএফ সূত্রে খবর, পাখিগুলিকে খাঁচার মধ্যে ঠাসাঠাসি করে ভরা হয়েছিল। এরপর ঠোঁটগুলিকে রবার ব্যান্ড দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দেওয়া হয়। যাতে তারা ডাকতে না পারে সেকারণেই তাদের মুখ গুলিকে এভাবে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তাদের মাথাগুলিও ছোট কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। এদিকে এভাবে ট্রেনে পাখি পাচার করতে গিয়ে দুটি পাখি মারাও যায়।
আরপিএফের টিম এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম শেখ সৈয়দ। এই যোগবানী ট্রেনটি ভারত-নেপাল সীমান্তে শহর যোগবানীর সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ করে। আরপিএফ ইন্সপেক্টর ভিবি শর্মা জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে ওই ব্যক্তি কাটিহার স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছিল।ওই ব্যক্তিকে জেরা করে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে কীভাবে সে পাখিগুলি পেয়েছিল। কার কাছে পাখিগুলি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।’ অপর এক আরপিএফ আধিকারিক জানিয়েছেন,' বর্ধমান পর্যন্ত ওই ব্যক্তির রিজার্ভেশন ছিল। এরপর সম্ভবত সে গাড়িতে কলকাতা যেত।' তবে পাখিগুলিকে বনদফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বনদফতরের দাবি, ‘এই রুটে পাখি পাচারের প্রবণতা রয়েছে। নেপাল থেকে ভারতে পাখি পাচার করা হয়। এই ট্রেনে আর আগেও পাখি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।’