ধারের টাকা ফেরত দিতে না পারায় শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের অভিযোগ। অপমানে মাকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন যুবক। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা মধ্য হাওড়ার পঞ্চাননতলার। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মা কৃষ্ণা ও স্ত্রী দেবিকার সঙ্গে থাকতেন অভিষেক হাইত নামে ওই যুবক। কিছুদিন আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেশ কিছু টাকা ও গয়না ধার নেন তিনি। সেই টাকা সময়মতো ফেরাতে না পারায় স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাঁর ওপর নির্যাতন চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, টাকাপয়সা নিয়েই স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল অভিষেকের। চলতি সপ্তাহেই অভিষেককে বাড়িতে এসে শাসিয়ে যান স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তখনই বিবাহবিচ্ছেদ চান অভিষেক।
এই নিয়ে গোলমালের মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাড়ির কেউ দরজা খুলছে না দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরাই খবর দেন থানায়। পুলিশকর্মীরা এসে দেখেন হাতের শিরা কাটা অবস্থায় মাটিতে পড়েছেন কৃষ্ণাদেবী ও অভিষেক। রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা ঘর। রক্তক্ষরণে ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে কৃষ্ণাদেবীর। অভিষেকের দেহে তখনও প্রাণ ছিল। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
ঘটনার তদন্তে নেমে গোয়েন্দাদের অনুমান মাকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন অভিষেক। মা-ছেলের এই পরিণতির জন্য স্ত্রী দেবিকা ও তাঁর পরিবারকেই দায়ী করেছেন প্রতিবেশীরা।