পারিবারিক বিবাদের জেরে স্ত্রী এবং পুত্র কে খুন করে আত্মঘাতী হলেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের কিসমত দশগ্রাম টিয়াদহ এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মনোরঞ্জন সরকার এবং তাঁর স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। শনিবার গভীর রাতে মনোরঞ্জন সরকার তার স্ত্রী এবং পাঁচ বছর পুত্রসন্তানকে খুন করে নিজে আত্মহত্যা করেন। আজ সকালে এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় করে ওই বাড়িতে। শাহবাগ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মুম্বইয়ে কর্মরত ছিলেন মনোরঞ্জনবাবু। লকডাউনের মধ্যে সেখান থেকে ফেরেন তিনি। এর পর কিছুদিন শাশুড়ির অসুস্থতা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন যুবক। স্ত্রী কেন সারাদিন ফোনে কথা বলেন, তা নিয়ে দম্পতির মধ্যে মাঝেমাঝে বিবাদ হতো। সম্প্রতি বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন স্ত্রী। শনিবার ফেরেন। মাঝে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন মনোরঞ্জনবাবুও। সেখানেই কোনও বিবাদের জেরে এই পরিণতি বলে মত পরিবারের।
এই ঘটনায় পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। যুবকের পরিবার ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দম্পতির মধ্যে মাঝেমাঝেই তুমুল ঝগড়া হতো। এলাকাবাসী বহুবার মিটমাটের চেষ্টা করেছে কিন্তু লাভ হয়নি। শনিবার রাতেও দুজনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। রাত বাড়লে আমরা শুয়ে পড়ি। সকালে উঠে দেখি রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর।
এই ঘটনায় পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। মৃত মনোরঞ্জনবাবুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তদন্তকারীরা।