হোটেলের ঘরে প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহের সঙ্গে গোটা রাত ঘরবন্দি রইলেন এক পানশালার নর্তকী। সোমবার সকালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে চাঞ্চল্য ছড়ায় দিঘায়। ওদিকে প্রৌঢ়ের স্ত্রী জানিয়েছেন, স্বামী যে দিঘায় গিয়েছেন তা ঘুণাক্ষরে জানতেন তা তিনি।
রবিবার দিঘার একটি হোটেলে গিয়ে ওঠেন হুগলির হিমনগরের বাসিন্দা রাম উপাধ্যায় (৪৩)। পেশায় পরিবহণ ব্যবসায়ী রামের সঙ্গে ছিলেন বারাসতের বাসিন্দা মালা ঘোষ। পেশায় তিনি পানশালার নর্তকী। সোমবার সকালে ঘর থেকে বেরিয়ে মালা জানান, রাতে মত্ত অবস্থায় সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন রাম। খবর পেয়ে হোটেলে পৌঁছয় পুলিশ।
পুলিশের কাছে মহিলা জানান, রাম উপাধ্যায়ের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন তিনি। রবিবার তাঁরা দিঘায় আসেন। রাতে মদ্যপানের পর তাঁকে মারধর শুরু করেন রাম। এর জেরে তিনি বারান্দায় চলে যান। তখন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন প্রৌঢ়।
ওদিকে রাম উপাধ্যায়ের স্ত্রীর দাবি, সকালে হলদিয়া যাচ্ছি বলে স্বামী বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। বলেছিলেন রাতে বাড়ি ফিরবেন। বিকেলে ফোন করে বলেন, গাড়ি খারাপ হয়ে গিয়েছে, কাল ফিরবেন। সকালে তাঁকে ফোন করলে এক মহিলা জানান স্বামী আত্মঘাতী হয়েছেন।