ছেলের সাক্ষের ভিত্তিতে স্ত্রীকে খুনে অভিযোগে শাস্তি হল এল ব্যক্তির। চিরঞ্জিত মাহাতো নামে ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে পুরুল্যা আদালত। বাবার শাস্তিতে খুশি ছেলে মৃগাঙ্ক।
২০১৮ সালের ১৭ অগাস্ট পুরুল্যার কেন্দা থানার ভাদশা গ্রামে স্বামীর হাতে খুন হন অষ্টমী মাহাতো। চোখের সামনে বাটালি দিয়ে মাকে কোপাতে দেখেছিলেন দম্পতির বড় ছেলে মৃগাঙ্ক। তাঁর সাক্ষের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত স্বামীকে সাজা শোনাল আদালত। তবে এদিন বাবার নাম মুখে নেননি ছেলে।
মৃগাঙ্ক বলেন, সেদিন বাড়িতে মনসা পুজো ছিল। আমরা সবাই আয়োজন করছিলাম। হঠাৎ শুনি মার আর্তনাদ। ছুটে গিয়ে দেখি বাবা মায়ের বুকের ওপর বাটালি দিয়ে কোপাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে বাবাকে সরিয়ে মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে মায়ের মৃত্যু হয়। তার আগে মা আমাকে বলেছিল, ‘তোদের বাবা আমাকে মেরে ফেললে।’
ঘটনার পর চিরঞ্জিত মাহাতোকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুনানি চলাকালীন বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষ দেন মৃগাঙ্ক। চার বছর পর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন বিচারক। সঙ্গে ১০,০০০ টাকা জরিমানা। না দিতে পারলে আরও ৬ মাস কারাবন্দি থাকতে হবে তাঁকে।