কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মালদায় এক ব্যক্তির দেহে ধরা পড়ল করোনার সংক্রমণ। বুধবার তাঁর করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিয়ম মেনে ১৪ দিন সরকারি কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরও ওই ব্যক্তির করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে করোনার স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর নিয়ে।
জানা গিয়েছে, মালদায় প্রথম যে ব্যক্তির দেহে Covid-19 সংক্রমণ ধরা পড়েছিল তাঁর সঙ্গে একই গাড়িতে কলকাতা থেকে ফিরেছিলেন ওই ব্যক্তি। ওই ব্যক্তির সঙ্গে মানিকচক কলেজে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন তিনি। কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার পর তাঁর প্রথম লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল। কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন তাঁর শরীরে করোনার কোনও উপসর্গও দেখা দেয়নি।
দিন কয়েক আগে কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ ফুরানোয় ফের তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে ছুটি দিয়ে দেয় প্রশাসন। কালিয়াচকে বাড়ি ফিরে যান তিনি। সেখানে গিয়ে পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে মেলামেশাও করেন। এর পর বুধবার রাতে জানা যায় তাঁর লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ।
এই ঘটনায় প্রশাসনের রাতের ঘুম ছুটেছে। কোয়ারেন্টাইন থেকে ফিরে ওই ব্যক্তি কার কার সংস্পর্শে এসেছেন তা জানার চেষ্টা করছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে ওই ব্যক্তির পরিবারকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে পুরাতন মালদার করোনা হাসপাতালে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় করোনায় সরকারি কোয়ারেন্টাইন থেকে ফেরার পরেও হোম কোয়ারেন্টাইন কতটা দরকারি। সঙ্গে যে কোনও জায়গায় সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং কেন প্রয়োজন তারও জ্বলন্ত উদাহরণ এই ঘটনা।