মাথা কাজ করছিল না, তাই সাপে কামড়ানো যুবককে যে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে সেকথা মনেই ছিল না পরিজনদের। বদলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলল ওঝার কেরামতি। তাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন সমীর পাড়ুই (৪০)। ঘটনা কলকাতা থেকে মেরে কেটে ৬০ কিলোমিটার দূরে দেগঙ্গার।
শুক্রবার রাতে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপার বাসিন্দা সমীরবাবু জমা জলে মাছ ধরছিলেন। তখনই তাঁকে কামড় দেয় একটি বিষধর সাপ। বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। এর পর তাঁকে স্থানীয় এক ওঝার বাড়ি নিয়ে যান পরিজনরা। সেখানে ভোররাত পর্যন্ত চলে ঝাড়ফুঁক। তার পর ওঝা জানান সমীরবাবুর বিষের ক্রিয়া কেটে গিয়েছে। বাড়ি যেতে পারেন তিনি।
বাড়ি ফিরে কয়েক ঘণ্টা পর মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোতে থাকে তাঁর। তখন তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে ছোটেন বাড়ির লোক। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় যুবকের। চিকিৎসকরা জানান, আগে আনলে হয়তো বাঁচানো যেত তাঁকে।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, আমাদের এখানে সাপে কামড়ালে আগে ওঝার বাড়িতে নিয়ে যাওয়াই দস্তুর। তাই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা মাথায় আসেনি।
ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বিজ্ঞানকর্মীদের প্রশ্ন, কেন সাপে কামড়ানো রোগীকে ঝাঁড়ফুক করার অপরাধে ওঝার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হবে না?