বাসের ধাক্কায় এক মার্বেল মিস্ত্রির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করলেন স্থানীয়রা। এমনকী পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনাটি ঘটেছে ভাতারের বামাশোরে। মৃত মার্বেল মিস্ত্রির নাম পিন্টু ইসলাম। তিনি বর্ধমানের মিঠাপুরের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: শহরের রাজপথে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা, তীব্র গতির লরি পিষে দিল কনস্টেবলের মাথা
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইকে করে পিন্টু বামাশোর গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বর্ধমানের দিকে ফিরছিলেন। তখন উলটো দিক থেকে বাসটি নতুনহাটের দিকে যাচ্ছিল। তখনই বাসটি পিন্টুকে ধাক্কা মারে। ঘটনায় তিনি বাইক থেকে ছিটকে পড়ে যান। তারপর বাসটি পিন্টুকে চাপা দেয় বাসটি। যারফলে ওই ব্যক্তির মাথা থেঁতলে যায়। এরফলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, গ্রামে বিদ্যালয় রয়েছে বেশ কয়েকটি। খুব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হল বাদশাহী সড়ক। এর আগে গ্রামে বেশ কয়েকটি স্পিড ব্রেকার ছিল। কিন্তু পরে তা তুলে দেওয়া হয়। তার পর থেকেই দুর্ঘটনা বেড়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। আর সেই কারণেই একটি তরতাজা প্রাণ চলে গেল বলে জানান স্থানীয়রা।
এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে স্থানীয়রা অবিলম্বে স্পিড ব্রেকার করার দাবি জানান। এই দাবিতে মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় স্থানীয় থানার পুলিশ। তবে পুলিশ গেলে তাদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান উত্তেজিত জনতা। এমনকী পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর চালায়। যার জেরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় বাদশাহী সড়কে।
শেখ আব্দুল হান্নান নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ‘আগে স্পিড ব্রেকার ছিল। তা তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই সময় আমরা বাধা দিয়েছিলাম। কিন্তু জানানো হয়েছিল যে পরে তা করে দেওয়া হবে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরেও তা করে দেওয়া হয়নি। এর ফলে প্রায়ই সেখানে দুর্ঘটনা ঘটছে।’ তাদের বক্তব্য, তারা রাস্তায় স্পিড ব্রেকার ছাড়া কোনওভাবেই মৃতদেহ তুলতে দেবেন না। তাছাড়া কোনও গাড়িও যাতায়াত করতে দেবেন না। তারা জানান, এই এলাকায় দুটি স্কুল রয়েছে। এই অবস্থায় স্পিড ব্রেকার না থাকার ফলে অভিভাবকরা দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকেন। এরফলে দীর্ঘক্ষণ ধরে ওই রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শেষমেষ স্থানীয়দের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দেয় পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।