এবার অভিনব কায়দায় ব্যাঙ্ক জালিয়াতির শিকার হলেন এক প্রৌঢ়। বিমানের টিকিট কাটতে গিয়ে ঘটে গেল বিপত্তি। তাঁর দাবি, ফোনে 'ওই বিমান সংস্থার কাস্টমার কেয়ারকে' ওটিপি, পিন বা এটিএম কার্ডের কোনও তথ্য দেননি তিনি। শুধু নিজের নাম ও ফোন নম্বর বলেছিলেন। তাতেই প্রৌঢ়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক দফায় উধাও হয়ে গেল লক্ষাধিক টাকা।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির উত্তরপাড়ায়। ঘটনায় চন্দননগর কমিশনারেটের সাইবার সেলের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রতারিত ওই প্রৌঢ়। শুধু তাই নয়, উত্তরপাড়া থানাতে গিয়ে অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, কাজের সূত্রে দিল্লি যাওয়ার জন্য অনলাইনে বিমানের টিকিট কেটেছিলেন উত্তরপাড়ার বিবিএনসি সরণির বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থার কর্মী অসীমকুমার ঘোষাল। ওই ব্যক্তির অভিযোগ, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টিকিটের টাকা কেটে নেওয়ার সত্ত্বেও ফোনে কোনও মেসেজ আসেনি। অথচ তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে ৪ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা।
অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বালিগঞ্জের বেসরকারি ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে টিকিটের টাকা জমা দেন তিনি। কিন্তু তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টিকিটের টাকা কেটে নেওয়া হলেও ইমেল কিংবা ফোনে কোনও টিকিট অ্যাক্টিভেশনের মেসেজ পাননি তিনি। তা দেখেই যে বিমান সংস্থা থেকে ফ্লাইটের টিকিট কেটেছিলেন তিনি, ইন্টারনেটে সার্চ করে সেই সংস্থার কাস্টমার কেয়ার (ইন্টারনেটে অনেক সংস্থার কাস্টমার কেয়ার হিসেবে যে নম্বর দেওয়া থাকে, তা ভুয়ো হয়ে থাকে) নম্বর জোগাড় করেন অসীম। সেখানে ফোন করে বিমানের টিকিট পাননি বলে অভিযোগ জানান তিনি। অসীমের দাবি, তাঁকে নাকি ওই 'কাস্টমার কেয়ার' থেকে বলা হয় যে, তাঁর টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। তবে ওই বিমান সংস্থাকে তাঁর নাম ও ফোন নম্বর দিতে হবে।
ওই প্রৌঢ়ের অভিযোগ, নাম আর ফোন নম্বর বলার ৮ মিনিটের মধ্যেই মোট পাঁচ দফায় তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়। এই ঘটনায় হতবাক হয়ে যান অসীম। কারণ, তিনি তাঁর ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত কোনও তথ্যই ওই প্রতারককে দেননি। অথচ কি করে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরাতে পারল প্রতারকরা, তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না ওই ব্যক্তি। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে উত্তরপাড়ার থানার পুলিশ।