হাতে মদের বোতল নিয়ে টাওয়ারের একেবারে উপরে দাঁড়িয়ে যুবক। 'বিরহে' বলে চলেছেন, প্রেমিকাকে না পেলে আত্মহত্যা করেই ছাড়বেন। শেষপর্যন্ত অবশ্য সে পথে হাঁটেননি। দীর্ঘক্ষণ ধরে বুঝিয়ে তাঁকে নীচে নামিয়ে আনা হয়। আর নীচে নামতেই জুটল মায়ের হাতে মার। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল কাটোয়ার নাদনঘাট।
বৃহস্পতিবার মোবাইল টাওয়ারে উঠে যান খোকন দাস নামে বছর ২৫-এর ওই যুবক। পেশায় ড্রাইভার ওই যুবক দাবি করেন, পাড়ারই এক যুবতীর সঙ্গে প্রেম করেছেন। কিন্তু বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন সেই প্রেমিকা। ভালোবাসার মানুষকে কাছে না পেয়ে মদের বোতল নিয়ে ‘কিছু একটা করার’ জেদ চেপে ওঠে। সেই জেদ থেকেই টাওয়ারে উঠেছেন।
তারইমধ্যে ঘটনাস্থলে চলে আসে নাদনঘাট পুলিশ। নেমে আসার জন্য খোকনকে বোঝানোর পালা শুরু হয়। কিন্তু প্রেমে ‘ধাক্কা’ খেয়ে একেবারে নাছোড় মনোভাব নেন খোকন। যত পুলিশ নেমে আসার অনুরোধ করতে থাকে, ততই মোবাইল টাওয়ারের উপরে উঠতে শুরু করে। মদের বোতল হাতে নিয়ে বলতে থাকেন, প্রেমিকাকে না পেলে টাওয়ার থেকে ঝাঁপ দেবেন।
প্রেমিক খোকনের সেই জেদে বিপাকে পড়ে পুলিশ। যোগাযোগ করা হয় নাদনঘাট থানার ওসি এবং বর্ধমানের পুলিশ সুপারের সঙ্গে। উচ্চ আধিকারিকদের নির্দেশ মতো টাওয়ারের চারিদিক জাল দিয়ে ঘিরে ফেলেন পুলিশকর্মীরা। তারইমধ্যে খোকনের মা'কে টাওয়ারের কাছে ডেকে আনা হয়। তিনিও ছেলেকে নেমে আসার অনুরোধ করেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। শেষপর্যন্ত টাওয়ারে উঠে যান খোকনের বন্ধুরা। তাঁরাই খোকনকে নীচে নামিয়ে আনেন। তারপরই জোটে মায়ের হাতে মার। আর চোখের সামনে ‘শোলে’ সিনেমার দৃশ্য দেখার পর হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন স্থানীয়রা। তারইমধ্যে তাঁদের একটাই প্রশ্ন, ‘বীরু’ খোকন কি ‘বাসন্তী’-কে পাবেন?