বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ছেলের সামনে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করলেন বাবা। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিউরে দেওয়ার মতো এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার নিউটাউন থানা এলাকার সুলংগুড়ি দক্ষিণপাড়ায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রিয়াঙ্কা হালদার নামে ওই বধূকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অভিযুক্ত স্বামী রুবেল হালদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ১৪ বছর আগে দেখাশুনো করে বিয়ে হয়েছিল রুবেল ও প্রিয়াঙ্কার। দম্পতির ১২ বছরের এক সন্তান রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি অন্য এক মহিলার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন রুবেল। এই নিয়ে আইনি লড়াই চলছিল দম্পতির। ছেলেক নিয়ে প্রিয়াঙ্কা থাকতেন দাদার সঙ্গে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ ছেলেকে নিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন তিনি। রুবেল যে বাড়িতে থাকেন সেখান থেকে প্রিয়াঙ্কাকে ডাকেন কেউ। প্রিয়াঙ্কা বাড়ির ভিতরে ঢুকলে তাঁকে দা দিয়ে কোপাতে শুরু করেন রুবেল। ওই দৃশ্য দেখে কাছেই মামার দোকানে ছুটে যায় শিশুটি। মামিকে ডেকে নিয়ে আসে সে। ততক্ষণে নিথর হয়ে রাস্তার পাশে একটি নর্দমায় পড়ে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।
নিহত প্রিয়াঙ্কা হালদারের ১২ বছর বয়সী ছেলে জানিয়েছে, বাবা মাকে কুপিয়ে খুন করেছে। আমাকেও মারতে চেয়েছিল। আমি পালিয়ে এসেছি। বাবা যখন মা-কে কোপাচ্ছিল তখন আসেপাশের লোক সবাই দাঁড়িয়ে দেখছিল।
প্রিয়াঙ্কাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। এর পরই তৎপর হয় নিউটাউন থানার পুলিশ। অভিযুক্ত রুবেল হালদারকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা।