ভয়াবহ কাণ্ড ঘটিয়ে পশ্চিমবঙ্গে গা ঢাকা দিয়েছিল এক ব্যক্তি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ১০ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে ওই ব্যক্তি। আর সেই কাজে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় মেয়েটিকে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আগুনে পুড়িয়ে মেরে পালিয়ে এখানে এসে গা ঢাকা দেয়। ঘটনাটি ঘটানো হয়েছিল বিহারের কৈমুর এলাকায়। মেয়েটির অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গত ৭ অক্টোবর আদিবাসী স্কুল থেকে দেহটি উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনার পর স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) গঠন করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ মালদহ থেকে এই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সুপার রাকেশ কুমার জানিয়েছেন, এই অভিযুক্তের নাম মাশিদুর আলম। এই খুনে ব্যবহৃত জিনিসও উদ্ধার করা হয়েছে। নাবালিকার বাবা একজন চা–বিক্রেতা। তিনি দু’জন ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ৯ অক্টোবর দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।
তারপর এই দু’জনকে জেরা করলে বেরিয়ে আসে তথ্য। তখন গঠন করা হয় সিট। তাঁরা পুলিশ কুকুর, ফরেনসিক দিয়ে তদন্ত করেন। সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করা হয়। দেখা যায়, ওই স্কুলের নির্মীয়মাণ অংশে মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করা হয়। মেয়েটি বাধা দিলে তখন তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
বাকি দু’জন এই কাজে সাহায্য করেছিল। গ্রেফতার হওয়া দু’জন শিকার করেছে মাশিদুর নাবালিকাকে পর্ণ ভিডিও দেখিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিল। মেয়েটিকে খুন করতে মাশিদুর আলম লোহার রড, পাথর ব্যবহার করেছিল। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে দেহটি আগুনে নিক্ষেপ করা হয়। এই ঘটনায় তোলপাড় হয়ে গিয়েছে।