স্ত্রীকে দিয়ে তাঁর প্রেমিককে ডেকে এনে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল স্বামী ও বধূর বাপেরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। বুধবার ধূপগুড়ির ভেমটিয়ার ঘটনা। আহত যুবকের নাম শ্যামল হালদার। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে বধূর স্বামী-সহ ৩ জনকে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ধূপগুড়ির বাসিন্দা বিশাখা মালোদাসের বিয়ে হয় শিলিগুড়িতে। তবে মেখলিগঞ্জের বাসিন্দা শ্যামল হালদারের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি বাপেরবাড়ি আসেন বধূ। ফোন করে ডাকেন শ্যামলকে। বুধবার শ্যামল সেখানে পৌঁছতেই তাঁকে মারধর শুরু করেন বধূর স্বামী ও বাপের বাড়ির সদস্যরা। তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ।
এই নিয়ে এলাকায় ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। শ্যামলকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে বিশাখাদেবীর স্বামী রাজকুমার বর্মন ও বাপের বাড়ির ২ সদস্যকে।
বিশাখার সঙ্গে তাঁর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন শ্যামল। ওদিকে বধূর দাবি, তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছিল শ্যামল।
এই নিয়ে গত ৩ দিনে পরকীয়ার জেরে ২টি হামলার ঘটনা ঘটল ধূপগুড়িতে। যা নিয়ে তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, তৃণমূলের জমানায় মানুষের পুলিশের ওপর থেকে আস্থা উঠে গিয়েছে। পালটা তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানাবে দল।