চালক-সহ বাইককে প্রায় দেড় কিলোমিটার টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গেল ডাম্পার। তার জেরে ওই বাইকে আগুন ধরে যায়। অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে সেই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার বাগডোগরা হাট থেকে গোঁসাইপুরে ফিরছিলেন শাঁখা ব্যবসায়ী অনন্ত দাস। রাত আটটা নাগাদ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি ডাম্পারের সঙ্গে বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। বাগডোগরা থেকে শিবমন্দিরের দিকে সেই ডাম্পারটি যাচ্ছিল। সংঘর্ষের পর ডাম্পারের সঙ্গে আটকে যায় বাইকটি। সেভাবেই প্রায় দেড় কিলোমিটার চালক-সহ বাইককে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় ডাম্পারটি। তার জেরে বাইকে আগুন ধরে যায়। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে ডাম্পারও।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মাটিগাড়া দমকলের একটি ইঞ্জিন। পরে দমকলের আরও দুটি ইঞ্জিন আসে। নিয়ন্ত্রণে আনা হয় আগুন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অনন্তকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁকে দ্রুত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
সেই ঘটনার জেরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দু'নম্বর গেটের কাছে তুমুল যানজট তৈরি হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ডাম্পারচালককে আটক করা হয়েছে। উৎপল গোস্বামী নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, 'আমি গোঁসাইপুরে দাঁড়িয়েছিলাম। তারপর শুনলাম যে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেটে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এক বাইকচালককে ঘষটে-ঘষটে নিয়ে আসে ডাম্পার। ওই ডাম্পারটি দ্রুত বেগে আসছিল। তাতেও আগুন ধরে যায়। বাইকটি পুরো পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।'
শিলিগুড়িতে আজ যে ঘটনা ঘটেছে, গত ১ জানুয়ারি সেরকমই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল নয়াদিল্লিতে। যুবতীকে গাড়িতে টেনেহিঁচড়ে ৭ কিমি নিয়ে যায় একদল ‘মত্ত’ যুবক। পরে তাঁর নগ্ন দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত্যু হয় ২০ বছরের ওই মহিলার। দিল্লির সুলতানপুরীতে সেই নৃশংস ঘটনা ঘটে। কী হয়েছিল দিল্লিতে?
প্রাথমিকভাবে পুলিশের তরফে জানানো হয়, বাইকে করে ফিরছিলেন অঞ্জলি নামে যুবতী। সেইসময় তাঁর বাইকে ধাক্কা মারে মারুতি সুজুকি বালেনো। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গাড়ির নীচে আটকে আছেন অঞ্জলি। সেভাবেই তাঁকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রায় সাত কিমি রাস্তায় ঘষটাতে-ঘষটাতে যায় অঞ্জলির দেহ। পরে তাঁর নগ্ন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অঞ্জলির পা ভেঙে গিয়েছিল। ওই গাড়িতে মোট পাঁচজন ছিল। প্রত্যেকেই মদ খেয়েছিল বলে অভিযোগ।