বাঁকুড়া ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সেচ ও জলসম্পদ প্রকল্পের কাজে বিলম্ব নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সেচ ও জলসম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ড. মানস ভুঁইয়া। মঙ্গলবার পুরুলিয়ায় রিভিউ মিটিং শেষে বাঁকুড়ার সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসন ও সেচ দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে সরাসরি প্রশ্ন তোলেন এবং হুঁশিয়ারি দেন, কিছু আধিকারিকদের কারণে সরকারের খ্যাতি নষ্ট হলে তা মেনে নেওয়া হবে না। কাজ না হলে পদক্ষেপ নেওয়া অনিবার্য।
আরও পড়ুন: DVC না জানিয়ে ৭১ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে, কাঠগড়ায় তুলে ক্ষোভ উগরে দিলেন মানস
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলার সভাধিপতি অনুসূয়া রায়, জেলা শাসক এন. সিয়াদ, জেলার সেচ আধিকারিক, বিভিন্ন বিভাগীয় কর্তা ও ইঞ্জিনিয়াররা। মন্ত্রী জানান, ডিভিসি জল ছাড়া এবং অব্যাহত ভারী বর্ষণের কারণে রাইপুরে কংসাবতী সেচনালার ভাঙন ঘটেছে। তিনি প্রশ্ন করেন, রাইপুরের ক্ষত এত গভীর অথচ একটাও রিপোর্ট আসছে না কেন? এতদিন কী করছিলেন আধিকারিকরা? তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাইপুরের শ্যামসুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কংসাবতী নালা ভাঙনের ঘটনা উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরে তিনি বলেন, দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা কোথায় ছিলেন? ভাঙা নালা মেরামতের জন্য কেন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি? যদিও মন্ত্রীকে কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি আধিকারিকরা। এই অবহেলার জন্য তিনি স্পষ্টভাবে হুঁশিয়ারি দেন, এটা শুধু অবহেলা নয়, জনগণের জীবনের সঙ্গে খেলা। এভাবে দফতরের খ্যাতি ক্ষুণ্ন হতে দেব না।
এসময় বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীরও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বর্ষার আগেই গন্ধেশ্বরী নদী সংস্কারের কথা বলেছিলেন। কিন্তু দফতরের গাছাড়া মনোভাবের কারণে নদ-নদীর দশা আজ এত খারাপ। তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ফাল্গুনী সিংহও লিখিতভাবে নদী ও নালা ভাঙনের বিষয়টি জেলা সেচ দফতরের কাছে বারবার তুলে ধরেছেন। কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
মন্ত্রী ড. মানস ভুঁইয়া বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, এই বৈঠক ছিল সতর্কবার্তা। দফতরের কাজে গতি আনতেই বৈঠক। যারা কাজ করবেন না, তাদের জন্য সরকারি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের খ্যাতি এবং জনগণের নিরাপত্তার সঙ্গে খেলা করার অনুমতি তিনি দিতে পারবেন না।