কন্যাসন্তান জন্ম নিয়েছিল। তাই সেই সদ্যজাতকে মাটিতে পুঁতে দিল খোদ মা। এই খবর চাউর হতেই তাকে উদ্ধার করল পুলিশ। কন্যাসন্তান বারবার হওয়াতে সদ্যোজাত শিশুকে পুঁতে দেওয়ার পরিকল্পনা করল মা বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার থানার চাঁদপুর ধোপাহাট এলাকায়। আর এই চাঁদপুর ধোপাহাট এলাকায় পাঁচ সন্তানের পর কন্যাসন্তানকে মেনে নিতে না পেরে এমন কাণ্ড ঘটাল সদ্য মা হওয়া মহিলা বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ মাটি খুঁড়ে ওই সদ্যজাতকে উদ্ধার করলেও শেষরক্ষা হয়নি।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার বেশি রাতে চাঁদপুর ধোপাহাট এলাকায় একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা সদ্যোজাত শিশুকন্যার জন্ম দেন। শিশুকন্যা জন্ম দেওয়ার পর তাকে মাটিতে পুঁতেও ফেলেন ওই প্রসূতি মা বলে অভিযোগ। এই ঘটনার খবর চাউর হতেই ঘটনাস্থলে আসে মন্দিরবাজার থানার পুলিশ। আবার মেয়ে হওয়ায় মা নিজেই মেনে নিতে পারেনি। তখন তাকে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে। তারপর তড়িঘড়ি তাকে নাইয়ারহাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই একরত্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনা এখন গোটা এলাকায় চর্চিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আরজি করের সঙ্গেই উঠল উন্নাও–হাথরাসের বিচারের দাবি, জুনিয়র ডাক্তারদের মহামিছিল রাজপথে
অন্যদিকে ওই প্রসূতি মহিলার আরও পাঁচটি সন্তান আছে। তারপর কন্যাসন্তান হওয়ায় তাকে পুঁতে দেয় মা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ওই প্রসূতি মহিলার জ্ঞান চলে গিয়েছে। আর তাঁকে নাইয়ারাট গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই চলছে ওই মায়ের চিকিৎসা। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মন্দিরবাজার থানার পুলিশ। কেন এমন করা হল? সত্যিই কি কন্যাসন্তান জন্মেছে বলে? নাকি অন্য কোনও কারণ আছে নেপথ্যে? সবটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই সদ্যজাত মৃত কন্যাসন্তানের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এছাড়া ওই প্রসূতির আরও পাঁচটি সন্তান রয়েছে। তার পর আবার মেয়ে হওয়ায় মহিলা রেগে যান। তখন কোনও ভালমন্দ না ভেবে নিজেই পুঁতে দেয় কন্যাসন্তানকে বলে অভিযোগ। প্রসূতি মহিলা এখনও চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। নাইয়ারাট গ্রামীণ হাসপাতালে সবকিছুর খবর নেওয়া চলছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মন্দিরবাজার থানার পুলিশ। এলাকার বাসিন্দাদের নানা কথা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রসূতির পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ওই মহিলা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।