পঞ্চায়েত ভোটের আগে আবারও প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে রাত ১২টা নাগাদ কার্যত রণক্ষেত্র চেহারা নিল বর্ধমান স্টেশন চত্বর। এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীর উপর লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হল গাড়ি। স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোলাপ সরকারের অনুগামীদের বিরুদ্ধে এই হামলার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান রেলওয়ে স্টেশনে রবিবার রাত ১২টায় লাঠি নিয়ে এসে হঠাৎ ভাঙচুর করতে শুরু করে বেশ কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক। বেশ কয়েকটি চারচাকা গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেতা গোলাপ সরকারের অনুগামীদের বিরুদ্ধে এই ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের বক্তব্য, তৃণমূল নেতা ইফতেখার আহমেদ ওরফে পাপ্পু এবং গোলাপ সরকারের মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। তাদের এই বিবাদ এদিন বড় আকার ধারণ করে। তার ফলস্বরূপ রাতের বেলায় বর্ধমান স্টেশনে ঢোকার মুখে কয়েকটি দামি চারচাকা গাড়ি এবং বাইক ভাঙচুর করা হয়। যদিও ইফতেখার আহমেদ দাবি করেছেন, যারা ভাঙচুর করেছে তারা একটা সময় বিজেপি করতো। রাতের অন্ধকারে চুরি ডাকাতি করে। এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে গেলেই মারধর করা হয়।
অন্যদিকে, গোলাপ সরকার গোষ্ঠী পালটা ইফতেখার আহমেদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছে। তাদের বক্তব্য, সারা বছর ধরে ইফতেখার গোষ্ঠীর লোকজন তোলাবাজি করে। আর তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে মারধর করা হয়। জানা গিয়েছে, ইফতেখার গোষ্ঠীর লোকজন তোলাবাজি করার সময় গোলাপ সরকারের ছেলে মোবাইলে ছবি তোলেন। ঘটনায় তাঁকে মারধর করা হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এদিন গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup