গতকাল দিনেদুপুরে মগরাহাটে খুন হয়েছিলেন সিভিক ভলেন্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তী এবং তার বন্ধু তথা মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপ-প্রধানের ছেলে মলয় মাখাল। প্রথমে গুলি করে পরে তাদের কুপিয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জাহাঙ্গীর আলমের ভাই জানে আলমের। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই জানে আলমের বিরুদ্ধে অনেক দিন আগে থেকেই দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। চিটফান্ড খুলেছিল এই অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে প্রতারণারও অভিযোগ রয়েছে। এমনকি প্রতারণার দায়ে বেশ কয়েক মাস জেল খেটে ছিল। কিন্তু, জেল থেকে ফেরার পরই আবার মানুষ ঠকানো শুরু করে দেয় জানে আলম।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে, জানে আলমরা পাঁচ ভাই। তার মধ্যে তিনি বড়। দুর্নীতিতে হাত পাকিয়েছেন বাম জমানা থেকে। ২০০৫-০৬ সালে ডায়মন্ডহারবার, যাদবপুর, সোনারপুর, বারুইপুর সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য যুবক-যুবতীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছিল এই জানে আলম। যুবক যুবতীদের চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া হয়েছিল। যদিও কাউকে চাকরি দেওয়া হয়নি। এরপর এই অসংখ্য যুবক-যুবতী টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ করেছিলেন।
শুধু তাই নয়, জানে আলম নিজের এয়ারলাইন্স এবং টিভি নেটওয়ার্ক ছিল বলে দাবি করেছিল। বিভিন্ন প্রোডাক্টের কোম্পানি চালাত এই জানে আলম। এই সমস্ত জায়গাগুলোতেই চাকরি দেওয়ার নামে যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে প্রচুর টাকা তুলেছিল জানে আলম।
মুম্বইয়ের একটি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে মগরাহাটে স্টুডিও করার প্রতিশ্রুতি দেয় জানে আলম। সেইমতো ওই কোম্পানির কাছ থেকে বেশকিছু টাকা নিয়েছিল সে। কিন্তু, দেখা যায় পাঁচিল ছাড়া আর কিছুই হয়নি। এর পরেই ওই কোম্পানি জানে আলমের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তারপর থেকেই জানে আলম পলাতক ছিল। শুধু তাই নয়, একটি চিটফান্ডও খুলেছিল জানে আলম। কিন্তু, চিটফান্ড নিয়ে ধরপাকড় শুরু হওয়ায় তা বন্ধ করে দেয়। ইদানিং ইমারতি দ্রব্যের কারবার শুরু করেছিল। এখন খুনের ঘটনায় তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।