সাত সকালে পোস্ট অফিসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। তারজেরে পুড়ে ছাই হয়ে গেল পোস্ট অফিসের বহু গুরুত্বপূর্ণ চিঠি ও নথি। খবর পেয়ে দমকলের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। প্রায় আধঘণ্টারও বেশি সময়ের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকল কর্মীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। একইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ চিঠি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়দের একাংশ। তারা এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য ডাকঘরের ভগ্ন দশকেই দায়ী করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার দাশনগরে পোস্ট অফিসে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের টায়ার কারখানায় ভয়াবহ আগুন, চলল লুঠপাট, নিখোঁজ ১৭৩
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই ডাকঘরের জানালা দিয়ে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। ক্রমেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তখন স্থানীয়রা দ্রুত দাশনগর থানা এবং দমকলকে খবর দেন। এদিকে, আগুন ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়রা প্রথমে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। সেখানে ছিলেন ডাকঘরের কর্মীরাও। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পরে দমকল এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। দমকলের একটি ইঞ্জিনের মাধ্যমে প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকল কর্মীরা।
আগুন নেভার পর ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, এদিন ডাকঘরে অগ্নিকাণ্ডের জেরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চিঠি, নথি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।যদিও ঠিক কত পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে? তা জানার চেষ্টা করছেন ডাকঘরের আধিকারিকরা। তবে কীভাবে ডাকঘরে আগুন লাগল তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, কম্পিউটারের তারে শর্ট সার্কিটের ফলে আগুন লেগেছে। তবে প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। দমকলের আধিকারিকাজ জানান সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারপরেই আগুন লাগার কারণ জানা যাবে।
এদিকে, আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে ডাকঘরের বাইরে ভিড় জমে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে গ্রাহকদের। আগুন লাগার ঘটনায় তারা পোস্ট অফিসের জরাজীর্ণ দশাকেই দায়ী করেছেন। তাদের বক্তব্য, কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এদিন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অনেকেই পোস্ট অফিসে টাকা জমা দিয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে অগ্নিকাণ্ডের পর তাদের আমানত সুরক্ষিত রয়েছে কিনা তা নিয়ে তারা প্রশ্ন করেন।