বাজি বিস্ফোরণ ও আগুনে ঝলসে ৩ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বিস্ফোরণ হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। শনিবার মধ্যরাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হল বাড়ির দরজা, জানালার কাচ। জানা গিয়েছে, বেআইনিভাবে ওই বাড়িতে বাজি তৈরি হচ্ছিল। সেই সময় আচমকা বাজি ফেটে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়ার তাঁতিবেরিয়া এলাকায়। সবমিলিয়ে বিস্ফোরণের ফলে আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এখন এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে কীভাবে পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে লোকালয়ে বাজি তৈরি হচ্ছিল?
আরও পড়ুন:উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতায় দেদার ফাটছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি, পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ
জানা গিয়েছে, শনিবার রাত একটা নাগাদ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে এলাকা কেঁপে ওঠে। এরফলে সেই বাড়িটি ছাড়াও আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ির জানালার কাচ ও দরজা ভেঙে যায়। এমনকি দেওয়ালে ফাটল পর্যন্ত দেখা দেয়। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ। এরপর বাড়ির মালিক লকে আটক করে। পুলিশের অনুমান, ওই বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে বেআইনি বাজি এবং বাজি তৈরির মশলা মজুদ ছিল। সেখান থেকে কোনওভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যদিও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের সুপার স্বাতী ভাঙালিয়া । তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, একজন সামান্য আহত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার উলুবেড়িয়ার গঙ্গারামপুর এলাকায় বাজি ফেটে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছিল তিন শিশুর। বাজি পোড়ানোর সময় একটি চরকির ফুলকি থেকে আগুন লেগে যায় বাড়িতে। তারফলে তিনজনের মৃত্যু হয়। তারমধ্যেই এবার বাজি থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল উলুবেড়িয়ায়।
প্রতিবেশীদের দাবি, ওই বাড়ির মালিক শ্যামল মণ্ডল বাজি বা বারুদ মজুত রেখেছিলেন। তা থেকেই এই বিস্ফোরণ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামলের টিভি, ব্যাটারি সারানোর দোকান আছে। তবে কালীপুজোর সময় বাজি তৈরি করেন। উড়ন তুবড়ি-সহ বিভিন্ন বাজি তৈরি করে থাকেন তিনি। সেই বারুদ থেকেই কোনওভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে। জানা যাচ্ছে, পাশের বাড়ির এক ব্যক্তি বিস্ফোরণের ফলে সামান্য আহত হয়েছেন। এছাড়াও ওই এলাকাটি ঘিঞ্জি হওয়ায় আশেপাশের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না তাও তারা খতিয়ে দেখছেন।