কসবা কাণ্ডের পর পানিহাটি টিকা কাণ্ডকে ঘিরে উঠে আসছে নানা প্রশ্ন। পুরসভা শংসাপত্র কীভাবে বেহাত হল, সেই উত্তরই খুঁজছেন স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকরা। স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে টিকা সরানো হচ্ছিল কিনা, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই সব উত্তর খুঁজে বের করলেই শুধু অভিযুক্ত চিকিৎসকই নন, আরও অনেকের নামই উঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে কসবা কাণ্ডে কলকাতা পুরনিগমের নাম জড়িয়ে পড়েছিল, এবার পানিহাটি পুরসভার নাম জড়িয়ে পড়ল।
স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত চিকিৎসক বিপ্লব রুদ্র আর্বান প্রাইমারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন। পানিহাটি পুরসভার সেশন আইডি ব্যবহার করে টিকাকরণ হয়েছে সেখানে। গোটা কেলেঙ্কারির সঙ্গে পুরসভার ভিতরের লোকজন জড়িত রয়েছেন বলে একাংশের অভিযোগদ। একইসঙ্গে আরও একটি প্রশ্ন উঠে আসছে। জানা গিয়েছে, ৩০০ টাকা দামে কোভিশিল্ডের টিকা দেওয়া হয়েছে। এত কম দামে টিকা দেওয়া যাচ্ছে কীভাবে? তাহলে কী এই টিকা জাল? এই টিকার জোগান হল কীভাবে? এই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
ইতিমধ্যে পানিহাটি কাণ্ডে আটক চিকিৎসককে ছেড়েও দিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত চিকিৎসক ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, তিনি কোনওভাবেই টিকাকরণের সঙ্গে যুক্ত নন। প্রশ্ন উঠছে, কেন ওই অভিযুক্ত চিকিৎসককে আটক করে এখনই ছেড়ে দেওয়া হল। একজন চিকিৎসক তাঁর ব্যক্তিগত চেম্বারে টিকা দিলেন, কীভাবে তাঁর কাছে টিকা দেওয়া নিয়ে পুরসভার নথি পৌঁছে গেল। এই সব প্রশ্ন বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পুরসভার কাজকর্ম নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।