বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > রান্নাঘর, বিছানা থেকে বেরিয়ে পড়ছে সাপ! আতঙ্কে ঘুম উড়েছে ধূপগুড়ির বাসিন্দাদের

রান্নাঘর, বিছানা থেকে বেরিয়ে পড়ছে সাপ! আতঙ্কে ঘুম উড়েছে ধূপগুড়ির বাসিন্দাদের

প্রতীকী ছবি। (সৌজন্যে ফেসবুক, Anupam Saha)

ধুপগুড়ি রেঞ্জের আধিকারিক রাজকুমার পাল জানান, ‘গরম পড়ার কারণে সাপগুলি এখন বাইরে বেরিয়ে আসছে।’

সাপ শব্দটা শুনলেই এখন জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির বাসিন্দাদের মনে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে। কখনও খাটের নিচে, আবার কখনও রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে পড়ছে আস্ত কেউটে সাপ। যার ফলে গত কয়েকদিন ধরে সাপের আতঙ্কে কার্যত ঘুম উড়েছে ধুপগুড়ির বাসিন্দাদের। ইতিমধ্যেই সেখান থেকে গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি সাপ উদ্ধার করেছে বনকর্মীরা। কিন্তু, তারপরে সাপের আতঙ্ক কাটছে না বাসিন্দাদের মন থেকে। এই অবস্থায় সেখানে সাপ নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার কথা ভাবছে বনদফতর।

তবে কি কারণে ধুপগুড়িতে এত সাপের আতঙ্ক? সে প্রশ্নের উত্তরে ধুপগুড়ি রেঞ্জের আধিকারিক রাজকুমার পাল জানান, ‘গরম পড়ার কারণে সাপগুলি এখন বাইরে বেরিয়ে আসছে।’ সাপ উদ্ধার করে বেড়াচ্ছে ডুয়ার্সের একটি সর্প প্রেমী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এখন যেভাবে সাপ উদ্ধার হচ্ছে তাতে তারাও নাওয়া খাওয়ার সময় পাচ্ছেন না। খবর পেলেই সাপ উদ্ধারের জন্য তাদের ছুটি যেতে হচ্ছে। ধুপগুড়ির বিভিন্ন প্রান্তে কখনও বিছানার নিচে আবার কখনও রান্নাঘর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক গোখরো উদ্ধার করেছে এই সর্প প্রেমী সংস্থা। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত আটটি গোখরো সাপ তারা উদ্ধার করেছে।

সাপগুলিকে তারা বনদফতরের হাতে তুলে দিচ্ছেন। এরপরে বনদফতরের পক্ষ থেকে সাপগুলিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজকুমার পাল বাবু জানান, ওই সমস্ত সাপগুলি গয়েরকাটা-মরাঘাট রেঞ্জের অন্তর্গত সাউথ মরাঘাট জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, সাপের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় পুরসভাকে দায়ী করেছেন বাসিন্দাদের একাংশ। তাদের বক্তব্য, পুর এলাকা ঠিকমতো পরিষ্কার বা সাফাই না করার জন্যই সাপের উপদ্রব বেড়েছে।

বন্ধ করুন