ট্যাব কেলেঙ্কারিকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি তোলপাড় হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। আর এবার পড়ুয়াদের স্কলারশিপের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠল। তাদের মধ্যে কোথাও দিনমজুর আবার কোথাও চাষিদের অ্যাকাউন্টে অথবা পরিযায়ী শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে পড়ুয়াদের স্কলারশিপের টাকা। সবমিলিয়ে ১৫০ জন পড়ুয়া স্কলারশিপের টাকা পায়নি বলে অভিযোগ। মালদার রতুয়ার বাটনা জেএম সিনিয়ার মাদ্রাসায় স্কলারশিপ নিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সরকারের ২৩টি স্কলারশিপের আবেদনের শেষদিন ৩১ অক্টোবর, আবেদন করুন এখনই
পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের টাকা তাদের অনেকেই পাননি। তবে তাদের পরিবর্তে যারা টাকা পেয়েছেন তারা আবার সেই মাদ্রাসার পড়ুয়া নন। সেই ঘটনায় তদন্তে নেবে ২০২৩-২৪ সালের স্কলারশিপের প্রাপকের তালিকা হাতে আসে। তাতে দেখা যায়, ওই স্কলারশিপ প্রাপকদের তালিকায় মূলত বাটনার পার্শ্ববর্তী রামপুর, বোমপাল সহ একাধিক এলাকার মানুষের নাম রয়েছে। এদের মধ্যে কারও বয়স ৫০, কারও ৬০ বা কারও ৮০-এর কাছাকাছি। এই ঘটনায় মাদ্রাসার প্রাক্তন টিআইসি আনোয়ার হক এবং কম্পিউটার শিক্ষক ইনজামামুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, ২ থেকে ৩ হাজার টাকা কমিশন দিয়ে অভিযুক্তরা বাকি টাকা নিজেরা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগ উঠছে, সবমিলিয়ে বেশ কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতি করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, যারা টাকা পেয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন পেশায় দিনমজুর, কৃষক থেকে শুরু করে দিনমজুর। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০০ ভুয়ো প্রাপকের নাম রয়েছে এই তালিকায়। কমপক্ষে ওই মাদ্রাসার ১৫০ পড়ুয়া স্কলারশিপের টাকা থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ। তবে অভিযুক্তরা নিজেদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জানা গিয়েছে, শুক্রবার মাদ্রাসা ছুটি থাকার কারণে শনিবার প্রশাসনিক তদন্তের জন্য সেখানে যাবেন আধিকারিকরা। এদিকে, ইতিমধ্যেই জেলা শিক্ষা দফতরে বঞ্চিত পড়ুয়াদের তালিকা দিয়ে এসেছেন টিআইস। তিনি অবশ্য দাবি করেছেন, কিছুদিন আগে তিনি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন। তাই এ বিষয় তিনি কিছু জানেন না।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, তালিকায় আশপাশের এলাকার মানুষের নাম রয়েছে। তারা পড়ুয়া নন। তা সত্ত্বেও কীভাবে স্কলারশিপের টাকা পেলেন? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পড়ুয়ারা। এই ঘটনায় যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পড়ুয়ারা।