পঞ্চায়েত সমিতির নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে? তাই নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল খানাকুল ১ পঞ্চায়েত সমিতি। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হল পঞ্চায়েত সমিতির মহিলা সভাপতির। এছাড়াও, বেশ কয়েকজন সদস্যকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে দলেরই কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এর জেরে কাঁদতে কাঁদতে ঘটনাস্থল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মহিলা সভাপতি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি উচিয়ে সদস্যদের তাড়া করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় TMC-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মেরে কাউন্সিলরের কান ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ
পঞ্চায়েত সমিতিতে কেন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?
জানা যাচ্ছে,খানাকুল ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নইমুল হক ওরফে রাঙা গোষ্ঠীর সঙ্গে খানাকুল ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি দিপেন মাইতি গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস বোর্ড গঠন করার পরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে। তবে সোমবার এই গোষ্ঠীরদ্বন্দ্ব ব্যাপক আকার ধারণ করে। ব্লক তৃণমূল সভাপতির অনুগামী কয়েকজন আগেই কর্মাধ্যক্ষ এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পদত্যাগের ইচ্ছে প্রকাশ করে। সেই কারণে তাঁরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সম্পা মাইতির কাছে নিজেদের পদত্যাগপত্র জমা দেন। এরফলে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি ভেঙে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়।এদিন তাদের শুনানি ছিল। তবে তাতে আপত্তি ছিল নইমুলের।
জানা যাচ্ছে, নইমুল হক ওরফে রাঙা গোষ্ঠী চাইছে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটিতে নিজেদের আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে। শেষে সোমবার এই সমস্যার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ ওঠে, এদিন বৈঠককে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর কয়েকশো লোকজন পঞ্চায়েত সমিতিতে ভিড় করে। তবে এদিন বৈঠককে কেন্দ্র করে ঝামেলা হতে পারে সেই আঁচ আগেই পেয়েছিল পুলিশ। সেই কারণে এদিন পঞ্চায়েত সমিতির বাইরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ মোতায়েন ছিল।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সম্পা মাইতি বলেন, ‘এদিন বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই নইমুলকে কথা বলার জন্য কিছু সময় দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেই এক সদস্য বৈঠক শুরু করার জন্য আমাকে বলেন। সেই কথা বলাকে কেন্দ্র করে নইমুল আমার উপর হামলা চালায়। চেয়ার দিয়ে মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং মুখে ঘুষি মারে।’ তাঁর অভিযোগ, বিজেপির সঙ্গে নইমুলে আঁতাত রয়েছে। তার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে।