পাশের গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল গাইঘাটার যুবক সজলের। তরুণীর অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাচ্ছে শুনে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন সজল। কর্মসূত্রে তিনি থাকতেন মুম্বইয়ে। সেখানেই আত্মঘাতী হন তিনি। ছেলের এভাবে অকস্মাৎ মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।
উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার সুটিয়ার ছেলে সজল কুমার বিশ্বাস। সজল মুম্বইয়ের একটি হোটেলে কাজ করতেন। সজলের পরিবারের সদস্যদের মতে, বেশ কয়েক বছর ধরে পাশের গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল সজলের। পরিবারের সদস্যরা সেই সম্পর্কের কথা জানতেন। কিছুদিন আগেই সজল পরিবারের সদস্যদের জানায়, ওই তরুণীর অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি আরও জানতে পারা যায়, তরুণী আর সজলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চান না। সজলের ফোন নম্বরটিও তরুণী ব্লক করে দেয়। এরপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন সজল। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন সজলের মা। কিন্তু সজল ফোন ধরেননি। এরপর গত শুক্রবার সকালে মুম্বই থেকে সজলের বাড়িতে ফোন আসে। জানানো হয়, সজল গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
জানা গিয়েছে, সজল তাঁর মা জানিয়েছিল, সে মানসিক অবসাদ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেরিয়ে আসতে না পারায় গোটা ঘটনার জন্য তরুণীকেই দায়ী করছে সজলের পরিবারের সদস্যরা। সজলের পরিবারের সদস্যদের প্রশ্ন, সজলের সঙ্গে তরুণীর সম্পর্কে তো কোনও চিড় ধরেনি। তাহলে কেন তরুণী অন্যত্র বিয়েতে রাজি হয়ে গেল। যদিও তরুণীর পরিবারের সদস্যদের দাবি, তরুণী সজলের শুধু বন্ধু ছিল। প্রেমিকা ছিল না।