আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় শিলিগুড়ির এক তরুণী। পুলিশ অনেক খোঁজাখুজির পরও তাঁকে পায়নি। চার মাস পর মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হল তরুণীর দেহ। জানা যায়, ওই তরুণীকে মেরে মাটিতে পুঁতে দিয়েছেন তাঁর প্রেমিক। অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এর আগে ভোপালের সাকেতনগরে এই একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। বাঁকুড়ার এক তরুণীকে মেরে সিমেন্টের বেদীর নীচে পুঁতে দিয়েছিল প্রেমিক।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মহম্মদ আখতার নামে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে তরুণীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। ওই যুবকের সঙ্গে তরুণীর যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, তা তরুণীর পরিবারের সদস্যদের কথা বলে জানা যায়। ধৃত মহম্মদ আখতারকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রথম দিকে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে কোনও সমস্যা হচ্ছিল না। কিন্তু যত দিন যায়, তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা আরও বাড়তে থাকে। মাস চারেক আগে দুজনের মধ্যে ঝগড়াঝাটিও হয়। এরপরই তরুণীকে শ্বাসরোধ করে আখতার। হত্যার পর রেললাইনের ধারে একটি জঙ্গলে পুঁতে দিয়ে আসে তরুণীর দেহ। সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের সময় তরুণীকে খুন করা হয়েছিল মনে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দেহের বেশিরভাগ অংশই পচে গিয়েছে। দেহটিকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে দেহ শনাক্ত করেছেন তরুণীর পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।