তৃতীয় দফার শুরুতেই 'সাফল্য' পেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত প্রকল্প। নবান্ন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে 'কৃষক বন্ধু' প্রকল্পের আওতায় বাংলার ৬২ লাখ চাষির কাছে প্রথম কিস্তির ৫,০০০ টাকা বা ২,০০০ টাকা পৌঁছে গিয়েছে। মাত্র ১৫ দিনেই এত সংখ্যক কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পৌঁছে যাওয়ায় খুশি নবান্নও।
এবারের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্তাহারে যে ১০ টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা, তার মধ্যে অন্যতম ছিল 'কৃষক বন্ধু' প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ দ্বিগুণ করা হবে। সেইমতো বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার দেড় মাসের মধ্যে সেই প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। গত ১৭ জুন তিনি জানিয়েছিলেন, সেদিন থেকেই জেলায়-জেলায় কৃষকদের টাকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, সেইমতো ১৫ দিনের মধ্যে ৬১,২১,৮৮০ চাষির অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেজন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে মোট ১,৮০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, চলতি বছর ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৫,০০০ টাকা বা ২,০০০ টাকা দেওয়া হবে চাষিদের। সেই সময় 'কৃষক বন্ধু' প্রকল্পে চাষির সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের। তাঁদের আশা, ডিসেম্বরে প্রায় ৬৭ লাখ চাষিকে 'কৃষক বন্ধু' প্রকল্পের আওতায় অর্থ সাহায্য করা হবে। যে প্রকল্পে বছরে ৪,৫০০ কোটি বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার।
'কৃষক বন্ধু' প্রকল্প কী?
তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের দ্বিতীয় জমানায় সেই প্রকল্প চালু ছিল। তবে তৃতীয় ইনিংসে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। আগে যে কৃষকদের এক একরের কম জমি থাকত, তাঁদের বার্ষিক ২,০০০ টাকা এবং এক একরের বেশি থাকলে বার্ষিক ৫,০০০ টাকা দেওয়া হত। এবার সেই অর্থ দ্বিগুণ করা হয়েছে। অর্থাৎ যে কৃষকদের এক একরের বেশি জমি থাকলে বছর দুই কিস্তিতে ১০,০০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। আর যে কৃষকদের এক একরের কম জমি আছে, তাঁদের বছরে ৪,০০০ টাকা দেবে নবান্ন। তাঁদেরও দুই কিস্তিতে টাকা দেওয়া হচ্ছে।