ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে এফসিআইয়ের গম পাচারের অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ(ইবি)। ইবি সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যবসায়ীর নাম নিরঞ্জন সাহা(৬৮)। ধৃতের বাড়ি হাবড়ার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই ব্যক্তি হাবড়া শহরের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।
২০২০ সালের ২৩ অক্টোবর বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে ১৭৫টি গম বোঝাই লরি বেআইনিভাবে বাংলাদেশ পাচার করার সময় সীমান্ত থেকে আটক করে কাস্টমসের আধিকারিকরা। প্রায় ৪,৫০০ টন গম সেই সময় উদ্ধার করা হয়। কাস্টমস দফতর এই গম আটক করে বসিরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল।
এফসিআইয়ের স্টিকার সাটানো বস্তায় গম কেন বাংলাদেশে যাচ্ছে, সেই প্রশ্নে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। হাবড়ার বিধায়ক তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। এই ঘটনা বিধানসভা নির্বাচনের আগে গম পাচার হচ্ছে বলে রাজনৈতিক ইস্যুও হয়।
সূত্রের খবর, এফসিআইয়ের গম বাংলাদেশে পাচার কাণ্ডে প্রথমে ঘটনার তদন্তে নেমেছিল বসিরহাট থানার পুলিশ। পরে রাজ্য সরকারের তরফে এই তদন্তের ভার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার তদন্ত নেমে শুক্রবার সন্ধ্যায় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা হাবড়ার বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করে ওই ব্যবসায়ীকে।
ঘটনার তদন্তে নেমে ইবির হাতে নিরঞ্জন সাহা-সহ একাধিক ব্যবসায়ীর নাম উঠে আসে।এদিন সন্ধ্যায় ওই চাল ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেন ইবির আধিকারিকরা। এর পর তাকে গ্রেফতার করে প্রথমে হাবড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে ইবির আধিকারিকরা নিরঞ্জন সাহাকে বারাসত থানায় নিয়ে যান।
জানা গিয়েছে, ধৃত নিরঞ্জন সাহা হাবড়া চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি। সূত্রের খবর, ধৃত এই ব্যবসায়ীর মূলত চালের ব্যবসা থাকলেও আড়ালে এই ধরনের বেআইনি কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ইবি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে গম পাচারের মূল চক্রী এই ব্যবসায়ী।