সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব পাতিয়ে নাবালিকাকে পাচারের চেষ্টার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের উদ্যোগে উদ্ধার হলেন নাবালিকা। পুলিশের তরফে সতর্ক করে জানানো হয়েছে, লকডাউনের সুযোগে সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে পাচারচক্র গড়ে তুলেছে কিছু দুষ্কৃতী।
জানা গিয়েছে রায়দিঘির বাসিন্দা ওই নাবালিকা স্থানীয় একটি স্কুলে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। লকডাউনে অনলাইন ক্লাস করার জন্য মেয়েকে ধার করে স্মার্টফোন কিনে দেন দিনমজুর বাবা। সেই ফোনের সোশ্যাল মিডিয়ায় নাবালিকার সঙ্গে পরিচয় হয় এক যুবকের। ভিনরাজ্যে গিয়ে সংসার পাতার কথা বলে নাবালিকাকে পাচারের পরিকল্পনা করে যুবক। কোনও ভাবে সেকথা জেনে যায় কিশোরীর পরিবার। কিন্তু ততক্ষণে মেয়েটি যুবকের হেফাজতে।
উপায় না দেখে মেয়ের স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে হাজির হন নাবালিকার বাবা। তাঁকে সব কথা জানান। এর পর নাবালিকার বাবাকে নিয়ে মথুরাপুর থানায় হাজির হন প্রধান শিক্ষক। থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়। এর পর পুলিশ আধিকারিকরা অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেন নাবালিকাকে। সোমবার তাকে ডায়মন্ড হারবার আদালতে পেশ করে পুলিশ।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এমনিতেই সুন্দরবন ও লাগোয়া এলাকায় অতিসক্রিয় নারীপাচার চক্র। তার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে পাচারের নতুন ছক তৈরি করেছে কিছু দুষ্কৃতী। দুঃস্থ পরিবারের কিশোরী ও যুবতীদের স্বচ্ছল জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে ভিনরাজ্যে পাচার করছে তারা। এব্যাপারে অভিভাবকদের সতর্ক করেছেন মথুরাপুর থানার আধিকারিক।