বনগাঁর একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে রাস্তায় নামলেন মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রতিনিধিরা। অভিযোগ, বহু নেতার কাছেই তফসিলি শংসাপত্র রয়েছে। এই আবহে গতকাল বনগাঁ ১ নম্বর রেলগেট এলাকা থেকে মিছিল বের করেন মতুয়া প্রতিনিধিরা। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। অভিযোগ, সংরক্ষিত আসনে ভোটে লড়তেই রাজনীতিবিদরা ভুয়ো জাতি শংসাপত্র ব্যবহার করছেন।
অভিযোগ, বনগাঁ পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঋতুপর্ণা আঢ্য, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমিতাভ দাস, পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য, বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পীযূষকান্তি সাহা, বাগদার তৃণমূল প্রার্থী পরিতোষ সাহার জাতি শংসাপত্র ভুয়ো। মতুয়া প্রতিনিধিদের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এই ভুয়ো শংসাপত্র জোগাড় করেছেন ওই নেতারা। এদিকে এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও সরব হন মতুয়ারা। আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য নয়া সংস্কার নীতির বিরোধিতা করে তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্র ধীরে ধীরে তফসিলি জাতির সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে।
এদিকে মতুয়া মহাসঙ্ঘের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন শঙ্কর আঢ্য, পীযূষকান্তি সাহারা। এই বিষয়ে শঙ্করবাবু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই শংসাপত্র পেয়েছি।’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি সোনা পাচার মামলায় তাঁর ছেলে গ্রেফতার হওয়ায় এমনিতেই চাপে শঙ্করবাবু। এই আবহে এবার জালিয়াতি করে শংসাপত্র পাওয়ার অভিযোগ ওঠায় আরও অস্বস্তিতেত তিনি। এদিকে পীযূষকান্তির বক্তব্য, ‘সাহাদের মধ্যে শুঁড়ি সাহারা তফসিলি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়ে থারে। সেই মতোই আমি তফসিলি জাতির শংসাপত্র পেয়েছি। যাঁরা অভিযোগ করেছেন, তাঁরাই জানেন, কেন এই অভিযোগ করেছেন।’ অপরদিকে বনগাঁ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল এই বিষয়ে বলেন, ‘এমন ঘটনা ঘটে থাকে তার তদন্ত হওয়া উচিত। কেই দোষী হলে তাঁদের শাস্তি হওয়া উচিত।’