উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গলের জমিতে একের পর এক গড়ে উঠেছে বেআইনি রিসর্ট। সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশ পেয়ে জলদাপাড়া, লাটাগুড়ি, গাজোলডোবায় বেআইনিভাবে রিসর্ট গড়ে উঠছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে শুরু করল জেলা প্রশাসন। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর প্রশাসনিক আধিকারিকরা ওই এলাকায় জাতীয় সড়কের পাশে গড়ে ওঠা একটি রিসর্ট অনুমতিক্রমে তৈরি হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখেন। মেয়র গৌতম জানান, বনরক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ মতোই কাজ হবে।
আরও পড়ুন: অধুনা মেয়রের ‘পাদুকা জোড়া’ পরে বাড়ি ফিরলেন প্রাক্তন মেয়র, শিলিগুড়ি তোলপাড়
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন গৌতম দেব। এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছিলেন যেন পঞ্চায়েত থেকে কোনভাবেই বিল্ডিং নির্মাণের প্ল্যানে অনুমতি না দেওয়া হয়। তাছাড়া আদিবাসীদের জমি যাতে নেওয়া না হয় সে বিষয়ে তিনি নির্দেশ দেন। মেয়র জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে বনরক্ষায় আইন কঠোরভাবে মানা হবে। মেয়র আরও জানান, এবিষয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অনেক ক্ষেত্রেই জঙ্গলের জমিতে রিসর্ট বেআইনিভাবে গড়ে উঠছে। সেইসব রোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
উল্লেখ্য, গতবছর বেআইনিভাবে জমি দখল এবং নির্মাণ নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই গাজলডোবা সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে একাধিক রিসর্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। যদিও বিরোধীরা শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে রিসর্ট গড়ে তোলা এবং জমির চরিত্র বদলের অভিযোগ এনেছিলেন। তবে সেই অভিযান বন্ধ হতেই নতুন করে বেআইনিভাবে জঙ্গলের জমি দখল করে রিসর্ট গড়ে উঠছে বলে অভিযোগ সামনে আসে। সেই অভিযোগ পেয়েছিলেন মেয়র। তারপরে তিনি বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানান।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের জঙ্গলগুলিতে প্রবেশের জন্য কোনও টিকিট কাটতে হবে না। এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন শিলিগুড়ির মেয়র। তিনি জানিয়েছেন, এতে পর্যটকদের ভালো হবে। পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে। এটা একটা বড় শিল্প, এটাকে বাঁচাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ খুবই প্রশংসনীয়।