মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, একটা কেষ্টকে ধরলে লক্ষ কেষ্ট আছে। বিরোধীদের দাবি গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেত্রী। এবার এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, মমতা তো অনুব্রতর পাশেই ছিলেন। টাকা চুরি করে যদি কালীঘাটে না পাঠান তবে মমতার বংশের এত ঠাটবাট হয়? এত রাজপ্রাসাদ তৈরি হয়? একদিকে ভাইপো বলছেন জিরো টলারেন্স আর আমরা সবাই জানি দুর্নীতির যে কারখানা পিসি ও ভাইপো মিলে বানিয়েছেন তার নাটবল্টু হলেন অনুব্রত। মমতা কি চাইবেন নাটবল্ু আলগা হয়ে যাক।
তিনি বলেন, এই যে ফুলে ফেঁপে বেড়ে উঠেছেন এসব অবৈধ কারবারের জেরে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুব্রত ছাড়া চলবে না। তৃণমূলের এমন চোরচোট্টা ছাড়া চলবে না। তবুও আমরা বলছি আসলে এরা সব হচ্ছে সামনের সাইনবোর্ড। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেছিলেন আমাকে দেখে ভোট দাও। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় হচ্ছেন ডাকাতদের রাণী। কেষ্টকাণ্ড নিয়ে একেবারে চাঁচাছোলা প্রতিক্রিয়া সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের।
তিনি বলেন, বগটুই কাণ্ডের পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, যত বেআইনী অস্ত্র রয়েছে তা উদ্ধার করো। হয় উনি মিথ্যা কথা বলেছিলেন। বা পুলিশ তাঁর কথা শোনেননি। প্রতিদিন অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোথা থেকে আসছে, তার চেয়েও বড় কথা এই যে তৃণমূল রোজ হুমকি দিচ্ছে, চুঁচুড়ায় হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু কীসের জোরে এই হুমকি দিচ্ছে? বেআইনী অস্ত্র, বোমার জেরে হুমকি দিচ্ছে। মস্তানের জোরে, গুণ্ডা বাহিনীর জেরে। পুলিশকে বলব তৃণমূলের দলদাস না থেকে যত বেআইনী অস্ত্র আছে , যত বেআইনী মজুত আছে তা উদ্ধার করুন। এবার মানুষ এগুলো খুঁজে বের করবে।