আরজি করে নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসকদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। এই অবস্থায় জুনিয়রদের কাজে ফেরার জন্য বারবার অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকেরা। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কাজে ফেরার অনুরোধ করেছেন। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টও মঙ্গলবারের মধ্যে চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার বার্তা দিয়েছে। রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে গত কালের শুনানিতে দাবি করা হয়েছিল, চিকিৎসকদের আন্দোলনের ফলে বহু রোগী চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না। তার ফলে এখনও পর্যন্ত ২৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তবে সেই অভিযোগ খারিজ করেছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি, আন্দোলন করলেও তারা নিয়মিত রোগী দেখেছেন। এবার কত সংখ্যক রোগী দেখেছেন তাঁরা সেই তথ্য প্রকাশ করলেন।
আরও পড়ুন: ‘বিশেষ ইস্যু….’, সন্ধ্যায় তরুণীর ময়নাতদন্তের জন্য চিঠি পুলিশের, চাননি বিশেষজ্ঞ
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা গত ৫ দিনের ওপিডি-র তথ্য প্রকাশ করেছেন। তাতে দাবি করেছেন, এই কদিনে তাঁরা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ওপিডিতে ১০ হাজারেরও বেশি রোগীর চিকিৎসা করেছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁরা আন্দোলনে থাকলেও রোগী দেখা বন্ধ করেননি। প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিস্টকরা আন্দোলনের মঞ্চ থেকে রোগী দেখেছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সেই ছবি দেখা গিয়েছিল।
অন্যদিকে, মেদনীপুর মেডিক্যাল কলেজে যে সমস্ত রোগীরা গিয়েছিলেন তাঁরাও দাবি করেছেন যে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন। ডাক্তারদের আরও দাবি, বহির্বিভাগের পাশাপাশি বিশেষ শিবিরে রোগীদের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। সুতরাং তারা কাজের মধ্যে রয়েছেন। চিকিৎসকদের একটাই দাবি অবিলম্বে বিচার করতে হবে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার হাসপাতালে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত, নির্দিষ্ট বিশ্রাম কক্ষ সহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেন। সল্টলেকের করুণাময়ী মোড় থেকে মিছিল করে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মিছিল সেক্টর ফাইভে পৌঁছলে রাস্তায় থাকা সাধারণ নাগরিকরাও মিছিলের স্লোগানে গলা মেলান। পরে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে রাস্তায় বসে পড়েন জুনিয়ররা। স্বাস্থ্যভবন থেকে ১০০ মিটার দূরে তাঁরা রাস্তায় বসে পড়েন।