এখনও করোনাভাইরাস পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি। তার উপর নানা অসুখ মানুষের লেগেই আছে। এমন এক পরিস্থিতিতে জীবনদায়ী ওষুধের সংকট দেখা দিল খোদ সরকারি হাসপাতালে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের ফার্মেসিতে জীবনদায়ী ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকী এখানকার চিকিৎসকরা প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লিখে দিও মিলছে না। ক্যালসিয়াম, ভিটামিন–বি থেকে জীবনদায়ী ক্যানসারের ওষুধ অমিল।
এই ওষুধ অমিল থাকায় রোগী পরিষেবায় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। বিস্তর অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এখানের ফার্মেসিতে প্রত্যেকদিন ভালো ভিড় হয়। সেখানে এখন সাধারণ মানুষ ওষুধ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। চিকিৎসা করিয়ে অন্যত্র ওষুধ কিনতে যেতে হচ্ছে। যেখানে দিতে হচ্ছে মোটা টাকা। এই নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে রোগী ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, অনেকেই হাসপাতালের সুপারের অফিসে দরবার করছেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগীর পরিবারের সদস্য বলেন, ‘বাইরে থেকে বেশি দাম দিয়ে ওষুধ কেনার ক্ষমতা নেই। গরীব–খেটে খাওয়া পরিবারের পক্ষে এত দামের ওষুধ কেনা সম্ভব নয়।’ প্রসূতিদের যে ওষুধ প্রয়োজন তাও পাওয়া যাচ্ছে না। কাউন্টারে গেলে বলা হচ্ছে সাপ্লাই নেই। অথচ সরকার বলছে, সমস্ত ওষুধ হাসপাতালে বিনামূল্যে পাওয়া যাবে।
যদিও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, ‘ওষুধের ঘাটতি কথাটি হল অর্ধসত্য। কিছু ওষুধ পেতে সমস্যা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না এটাও ঠিক নয়। দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে। হাসপাতালের চাহিদা মত ভেন্ডাররা ওষুধের জোগান দিতে পারছেন না।’ সুতরাং ওষুধের সমস্যা যে আছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন সুপার। এখন দেখার সমস্যা কত দ্রুত মেটে।