২১শের বিধানসভা নির্বাচনপর্বে আচমকাই ফেসবুক পোস্টে সাংসদ শতাব্দী রায় সামনে এনেছিলেন তাঁর অভিমানের কথা। এরপর এনিয়ে দলের অন্দরে জলঘোলা কম হয়নি। দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর ঠান্ডা লড়াইয়ের প্রসঙ্গটাও সামনে আসতে থাকে ক্রমশ। এদিকে দলের একাংশ অভিযোগ তুলতে শুরু করেছিলেন ভোটে জেতার পর থেকে এলাকায় বিশেষ দেখা যায়নি সাংসদকে। এনিয়েও নানা চাপানউতোর চলেছে। তবে এখন সেসব অতীত।
ভোটের ফলাফলে তৃণমূলের জয়জয়কারের পরেই একেবারে যেন অ্য়াক্টিভ ফর্মে অভিনেত্রী সাংসদ শতাব্দী রায়।ইতিমধ্যেই একাধিক বৈঠকে যোগ দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার বীরভূমের মুরারইতে দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। নানা উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে। সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের টাকা কোথায়, কীভাবে খরচ হবে সেব্যাপারেও এদিন আলোচনা হয়েছে।
এদিকে বর্ষার মধ্যেই বীরভূমের কিছু এলাকায় ভাঙা রাস্তার সমস্যার প্রসঙ্গও উঠে আসে আলোচনায়। সেই রাস্তা মেরামতি, জাতীয় সড়কের ভাঙা অংশগুলির মেরামতির ব্যাপারে আবেদন করা সহ উন্নয়নকে আরও তরাণ্বিত করার ব্যাপারে এদিন আলোচনা হয়। এদিকে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস খতিয়ে দেখতে মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরাও বীরভূমে এসেছেন। সাংসদের অনুরোধ,' নিরপেক্ষ তদন্ত করুন।' ঘরছাড়াদের প্রসঙ্গেও অত্যন্ত ইতিবাচক মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘কোনও কর্মী সে যে দলেরই হোক, আমাদের খবর দিন, আমরা সেই কর্মীকে ঘরে ফেরাব। এর দায়িত্ব শাসক শিবিরের।’