মেমারির আহিরা গ্রাম দুর্গা মন্দির সংলগ্ন পাঁচিল ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় বুধবার। গেরুয়া শিবিরের স্থানীয় নেতারা অভিযোগ তোলেন, একটি সম্প্রদায়ের বেশ কিছু মানুষজন নাকি ওই পাঁচিলটি ভেঙে দেয়। এই আবহে আন্দোলনে নামে বিজেপি। দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে পথ অবরোধ করে গোরুয়া শিবির। সাতগাছিয়া বাজার এলাকায় বিজেপি কর্মীরা প্রতিবাদ জানায়। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলে পথ অবরোধ। জরুরি পরিষেবাকে ছাড় দিয়ে চলে অবরোধ। এর জেরে বেশ কিছুক্ষণ যানজটের সৃষ্টি হয়। (আরও পড়ুন: একের পর এক রাস্তা 'ব্লক' বলোচিস্তানে! হামলা গোয়াদার, নোশকি, বোলান সহ বহু স্থানে)
আরও পড়ুন: মতুয়াদের পুণ্যস্নান আজ, তার আগে 'বোধদয়', বারুণী মেলায় মমতাবালর সঙ্গেই শান্তনু
এদিকে খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মেমারি থানা সাতগেছিয়া ফাঁড়ির পুলিশ। উপস্থিত ছিলেন পাঁচ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি পলাশ মন্ডল, প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি তাপস পাল, অধীর শিকদার, মদন গলুই, সন্তোষ ঘোষ, মমতা বাগ সহ দলীয় নেতৃত্ব। এই আবহে পলাশ মন্ডল দাবি করেন, ভাঙচুর চালানো সেই ব্যক্তিদের ধরতে হবে। এদিকে ঘটনাস্থলের যে ভিডিয়ো সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, দুর্গা মণ্ডপের সামনে বালি পড়ে আছে স্তূপ হয়ে। এদিকে ছড়িয়ে ইট পড়ে আছে সামনে। (আরও পড়ুন: RAW-কে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো USCIRF-কে তুলোধোনা ভারতের, প্রশ্ন প্যাটার্ন নিয়ে)
এদিকে অপর এক ঘটনায় দুর্গাপুরে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি থেকে বাসিন্দাদের উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। বুধবার সেখানে জবরদখল উচ্ছেদ অভিযানে যান ডিভিসি এবং পুলিশ কর্মীরা। জবরদখলকারীদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। গ্রামের দু’পক্ষের মধ্যে প্রথম বচসা শুরু হলেও পরে তা হাতাহাতিতে পৌঁছে যায়। আর তা হয় দুর্গাপুর থানার পুলিশের সামনেই। অরিন্দম নায়েক নামে দুর্গাপুর বস্তি রক্ষা কমিটির সদস্যকে ফেলে দিয়ে চলে গ্রামের এক পক্ষের লোকজনের মারধর। ডিভিসির দাবি, জবরদখল উচ্ছেদ করার জন্য আগে থেকেই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই একপক্ষ তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তবে এখন বিষয়টি থামলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমি খালি না করলে আবার উচ্ছেদ অভিযান চলবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়।