দাদা অধ্যাপক ছিলেন। প্রয়াত হয়েছেন অনেকদিন হল। তিন জন অবিবাহিত ভাই ও বোন রয়েছেন। তাঁদের অবশ্য দাদার পেনশনের সুবিধা জোটেনি। এখন খুবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন শান্তিপুরের ডাবরে পাড়ায় অধ্যাপক পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যে গোটা বিষয়টি অবশ্য প্রশাসনের নজরে এসেছে। অধ্যাপক পরিবারের সদস্যদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী।
শান্তিপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ডাবরে পাড়ায় অধ্যাপক পরিবার এলাকায় খুবই পরিচিত। অধ্যাপক পরমানন্দ মুখোপাধ্যায় অনেকদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন। বাড়িতে রয়েছেন তিন জন অবিবাহিত ভাই বোন। কিন্তু তাঁরা কেউই দাদার পেনশনের টাকা পান না। তিন জন উচ্চশিক্ষিত হলেও দাদার মতো তেমন চাকরি জোটাতে পারেননি। তিন জনের বয়স ৭০-এর আশেপাশে। বড় ভাই দেবাশিস একজন চিকিৎসকের কাছে কেমিস্টের কাজ করতেন। সেই টাকা দিয়ে কিছুটা সময় চললেও পরে বার্ধক্যজনিত কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন সংসারে এতটাই অভাব বাসা বেঁধেছে যে চাল গুড়ো করে ঘন ফ্যান ও নুন দিয়ে খেয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে তাঁদের।
এমনই দুর্বিসহ অবস্থা সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকেও তাঁরা বঞ্চিত। কিছুদিন আগে দারিদ্রতা থেকে মুক্তির জন্য তিন ভাইবোন বিষ পর্যন্ত খেয়েছিলেন। কিন্তু কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে যান। নিজেদের অভাব অভিযোগ নিয়ে অধ্যাপক পরিবারের সদস্য নমিতা মুখোপাধ্যায় জানান, ‘করোনা থেকে বাঁচানোর জন্য সাধারণ মানুষকে তিন বার বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের কথা কেউ ভাবেনি। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থাকলেও কিছুটা দুশ্চিন্তা মুক্ত হতাম।’ পরিবারের এই অভাব অভিযোগ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল স্থানীয় কাউন্সিলার দীপঙ্কর সাহা জানান, ‘দুজনের বার্ধক্য ভাতা করে দেওয়া হয়েছে। অন্য একজনের কাগজপত্র জমা রাখা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সেটা চালু হবে।’