স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও দেখা গেল মর্মান্তিক দৃশ্য। নাগাড়ে বৃষ্টি পড়ছে। আর জাতীয় সড়কের কাছে কাতরাচ্ছে মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলা! আশ্চর্য লাগলেও এটাই বাস্তব। আরও দেখা গেল, সাহায্য করতে এগিয়ে এল না কেউ! চরম অমানবিকতার দৃশ্য ধরা পড়ল ধূপগুড়িতে। এমনকী অভিযোগ, রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন বহু মানুষ—সবাই যেন নির্বিকার, উদাসীন। একইসঙ্গে দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে একাধিক গাড়ি। কেউ এগিয়ে এলো না সাহায্য করতে।
তখন ঘড়িতে রাত ১০টা। ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর মায়ের থান সংলগ্ন এসটিএস ক্লাবের পাশে ফুটপাতে শুয়ে কাতরাতে দেখা যাচ্ছে এই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে। রোজই তাকে দেখা যায়, ধূপগুড়ি সুপার মার্কেট মোড় সংলগ্ন ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ঘুরে বেড়াতে। খাবারের সন্ধানে ঘুরে বেড়ায়। কোনও থাকার জায়গা নেই। ফুটবাসীই বলা চলে। আর সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। কিন্তু কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি।
এখান দিয়ে ধূপগুড়ি বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায় বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি লক্ষ করেন ওই মহিলা ফুটপাথে শুয়ে কাতরাচ্ছে। তখন তিনি গাড়ি থামিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। কয়েকজন দোকানদারকে ডেকে টোটোতে করে হাসপাতালে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেন। তারপরই বিধায়ক বিষ্ণু পদ রায় বলেন, ‘এটা লজ্জার বিষয়। আমি নিজেও পৌরসভা এলাকার নাগরিক। আমি প্রশাসনকেই দায়ী করব। বৃষ্টির মধ্যে শহরে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা এভাবে রাস্তায় পড়ে থাকলে তার মৃত্যু নিশ্চিত। আমার নজরে আসতেই মানবিকতার দিক থেকে আমি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। এখানকার পৌর প্রশাসন যে ব্যর্থ এটা তার জ্বলন্ত উদাহরণ।’