Mid day meal: দুর্গাপুজোয় দিতে হবে বোনাস, দাবিতে শিল্পমন্ত্রীর দ্বারস্থ মিড ডে মিলের রাঁধুনিরা

রাজ্যের অন্যান্য শ্রমিক, কর্মচারী এবং বিভিন্ন ক্লাব সংগঠনকে পুজোর সময় ভাতা দেওয়া হলেও এই সুবিধা থেকে বাদ পড়ছেন মিড ডে মিলের রাঁধুনিরা। এছাড়াও, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গত সাত বছর ধরে তাদের ভাতা বাড়ানো হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন মিড ডে মিলের রাঁধুনিরা।

বোনাসের দাবি মিড ডে মিলের কর্মীদের। প্রতীকী ছবি।

সামনেই দুর্গাপুজো। এই উৎসবে সরকারি কর্মীদের বোনাস দেওয়া হলেও সেই তালিকা থেকে বাদ রয়েছেন মিড ডে মিলের রাঁধুনিরা। তাছাড়া ক্লাবগুলিকে ভাতা দেওয়া হলেও কেন তাদের বোনাস দেওয়া হবে না? এই প্রশ্ন তুলে এবার শিল্পমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন মিড ডে মিলের রন্ধনকর্মীরা। তাদের সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ সংগ্রামী রন্ধনকর্মী রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে এই দাবিতে শিল্পমন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে।

রন্ধন কর্মীদের বক্তব্য, তারা ২০ বছর ধরে স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য মিড ডে মিল রান্না করে আসছেন। অথচ তারা সরকারি এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। রাজ্যের অন্যান্য শ্রমিক, কর্মচারী এবং বিভিন্ন ক্লাব সংগঠনকে পুজোর সময় ভাতা দেওয়া হলেও এই সুবিধা থেকে বাদ পড়ছেন মিড ডে মিলের রাঁধুনিরা। তাই তারাও পুজোর সময় বোনাসের তাদের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গত সাত বছর ধরে তাদের ভাতা বাড়ানো হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন মিড ডে মিলের রাঁধুনিরা। তাদের বক্তব্য, অন্যান্য রাজ্যে সরকার নিজেদের তহবিল থেকে মিড ডে মিলের কর্মীদের ভাতা বাড়িয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার সে ব্যাপারে উদ্যোগী হয়নি। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে তাদের পক্ষে কম ভাটায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মন্ত্রীকে জানিয়েছেন রন্ধন কর্মীরা।

তাদের আরও দাবি, তাদের পরিচয় পত্র দিতে হবে। এআইসিসিটিইউ-এর রাজ্য কমিটির সম্পাদক বাসুদেব বসু জানিয়েছেন, ‘মিড ডে মিল নিয়ে আমরা আমাদের দাবিদাওয়া মন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছে জানিয়েছি। তিনি সেগুলি শুনেছেন এবং সমাধানের চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, মিড ডে মিলের কর্মীরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে অথচ তারা বঞ্চিত হচ্ছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, তাদের দাবি না মানা হলে আগামী দিনের ধারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।