পুজো এসে গেল বলে। শীঘ্রই পুজোর ছুটি পড়বে স্কুলে। তার আগে পড়ুয়াদের এক অভিনব ‘উপহার’ শিক্ষকদের। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার মনসন্তোষ পার্ট বেসিক স্কুলের সাতজন শিক্ষক স্কুলের মধ্যাহ্নভোজে ইলিশ মাছ খাওয়ালে পড়ুয়াদের। স্কুলছাত্রদের চমকে দিতে শিক্ষকরা নিজেদের বেতন থেকে টাকা খরচ করে ১৫ কেজি ইলিশ মাছ কেনেন। জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের সঙ্গে বসে শিক্ষকরাও ইলিশ খান মিড-ডে মিলে।
গত মঙ্গলবার স্কুলের ১৮৫ জন ছাত্রকে ইলিশ মাছ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন মনসন্তোষ পার্ট বেসিক স্কুলের সাতজন শিক্ষক। ১৫ কেজি ইলিশ কিনতে ১৫০০০ টাকা খরচ করেছেন শিক্ষকরা। ইলিশ ছাড়াও মিড-ডে মিলের মেনুতে ছিল মিষ্টি কুমড়ো, আলুর সবজি এবং চাটনি। স্কুলের সহকারী শিক্ষক সুশান্ত কুমার বেরা বলেন, ‘আমরা দিনের বেশিরভাগ সময় স্কুলে কাটাই। তাই আমরা ভাবলাম একদিনের জন্য মিড-ডে মিলের মেনু পরিবর্তন করে তাদের খুশি করা যায়, তাই পূজার আগে তাদের ইলিশ মাছ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করলাম।’
এদিকে মিড-ডে মিলে ইলিশ পেয়ে বেজায় খুশি পড়ুয়ারা। স্কুলের এক ছাত্র বলে, ‘অন্যান্য দিন আমরা সবজি, মাছ বা ডিম খাই। কিন্তু আজ শিক্ষকরা আমাদের সবাইকে ইলিশ মাছ খাওয়ালেন। আমাদের খুব ভালো লেগেছে। ইলিশ মাছের সঙ্গে আলুর তরকারি ও চাটনি ছিল।’ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে যখন মিড-ডে মিলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, তখন নন্দকুমারের এই স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য এক অভিনব উপহার দিলেন শিক্ষকরা।
এই মাসের শুরুর দিকে, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্তত ১২ জন স্কুলের শিশু দুপুরের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে জানা যায়, রাঁধুনি ভুলবশত খাবারে নুনের পরিবর্তে ডিটারজেন্ট পাউডার মিশিয়ে দিয়েছিলেন। এছাড়াও মিড-ডে মিলের খাবারে টিকটিকি, সাপ, পোকা পাওয়া গিয়েছে বিভিন্ন সময়ে। অনেক জায়গাতেই মিড-ডে মিলের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা।