ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী নেতা-কর্মীদের তৃণমূলে ফেরার হিড়িক লেগেছে। গত শুক্রবারই দলবদল করে তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়। এর পর আরও নেতারা তৃণমূলে ফিরতে লাইন দিয়েছেন। কিন্তু সেই লাইনে দাঁড়াতে রাজি নন কোচবিহারের নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। উলটে তৃণমূলে ফিরতে উদ্গ্রীব নেতাদের আক্রমণ করলেন তিনি।
বিধানসভা নির্বাচনে নাটাবাড়ি কেন্দ্রে প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে হারিয়েছেন মিহিরবাবু। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ শনিবার বলেন, ‘কিছু কিছু নেতা আছে যারা ক্ষমতার বাইরে থাকতে পারে না। যারা আশা করেছিলেন বিজেপি এবার অবশ্যই বাংলায় ক্ষমতায় আসবে। তারা অনেকে আশা নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিল। আবার এখনকার পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, অনেকে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন তাঁর পুরনো দলের স্বার্থসিদ্ধির জন্য। যারা রাজনীতিকে ব্যবসা হিসাবে দেখে, তাদের পরিবর্তন স্বাভাবিক’।
তিনি স্পষ্ট করেছেন, বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়ণ ভোটের পরেও অপরিবর্তিত রয়েছে। যে ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত হচ্ছে তার সঙ্গে এখনো সহমত নন তিনি।
শুক্রবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়। তার আগেই তৃণমূলে ফেরার জন্য আবেদন জানিয়েছেন সোনালি গুহ, সরলা মুর্মু, দীপেন্দু বিশ্বাসের মতো বিজেপিতে যোগদানকারী একাধিক নেতা। শনিবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন আরেক বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পর তাঁর তৃণমূলে ফেরা সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে।