একুশের নির্বাচনের সময় দেখা গিয়েছিল দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসে আদিবাসী ভোটব্যাঙ্কের জন্য নানা উন্নয়নের কথা বলেছেন। কিন্তু তাতে নির্বাচনে খুব একটা সুবিধা হয়নি তা ফলপ্রকাশের পরই দেখা গিয়েছে। এবার আদিবাসীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নকেই তুলে ধরলেন আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বুলুচিক বরাইক। তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে আদিবাসী সমাজকে সম্মান করেন তা দেশের আর কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেখাতে পারেননি। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। কিন্তু বাংলায় আদিবাসীদের জন্য রাজ্য সরকার যে চিন্তাভাবনা ও পদক্ষেপ করছে তা সেখানে তো দূরের কথা, দেশের কোনও রাজ্যেই হচ্ছে না।’ হঠাৎ ঝাড়খণ্ড রাজ্য নিয়ে মন্তব্য করায় পরিস্থিতি জটিল হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা। কারণ এখন বিজেপি বিরোধী শক্তি একজোট হওয়ার কাজ করছে। সেখানে এই মন্তব্য মিস ফায়ার বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলাশাসকের সম্মেলন কক্ষে আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নয়নে কী কী পদক্ষেপ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনাসভায় যোগ দিয়েছিলেন বুলুচিক। সেখানে হাজির ছিলেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা, জেলাশাসক রশ্মি কমল–সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। সেখানেই আদিবাসী মানুষের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। পানীয় জল এবং জমির পাট্টা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
তারপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বুলুচিক বলেন, ‘আদিবাসী সম্প্রদায়ের ৬০ বছর বয়সের মানুষদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আদিবাসী ছেলেমেয়েদের জন্য পড়াশোনার সুযোগ করে দিয়েছেন। রাজ্য সরকার পাশে রয়েছে বলেই বিয়ের চিন্তা ছেড়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছে ছেলেমেয়েরা। নিজের পায়ের দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।’ তখনই আদিবাসী সমাজের সম্মান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।