পাঠশালা বন্ধ রেখে পানশালা খুলে রাখা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করতে এসে রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতির কটাক্ষ, সবসময়ই একটু পানশালার ওপর আগ্রহ বেশি আছে। সেটাই চলছে ভালো। পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ কী সেটা এর থেকেই স্পষ্ট।
করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্যের তরফে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি জানান, ‘রাজ্য সরকার পদক্ষেপ কিছু করেননি। হঠাৎ করে মুখ্যমন্ত্রীর কিছু মাথায় এল। সেটা বলে দিচ্ছেন। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ট্রেন চলবে, বলে দিলেন। তার পরিনাম যা হওয়ার তা হল। ভিড় ভার। ধুমধাড়াক্কা।
বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে সব জায়গায় উল্টো পাল্টাই হবে।’ একইসঙ্গে বিধিনিষেধের মধ্যে থাকা স্কুল বন্ধ রেখে পানশালা খুলে রাখার বিষয়টিও উঠে এসেছে। এই প্রসঙ্গে দিলীপবাবু জানান, ‘রাজ্য সরকারের নেতা মন্ত্রীরা এই ব্যাপারে খুব সৌখিন তো। তাঁদের ভিডিয়ো, ছবি আসছে, দেখছি আমরা। পাঠশালা বন্ধ করে পানশালা চালু করা, এই অভিনব ব্যবস্থা রেভিনিউয়ের জন্য মমতা ব্যানার্জি করেছেন। পানশালার ওপর আগ্রহ বেশি আছে। সেটাই ভালো চলছে। পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ যে কী সেটা এটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।’
এক মাসের মধ্যেই রাজ্যের বাকি পুরসভা এলাকায় ভোট গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। এই কথা মাথায় বিভিন্ন জেলায় জেলায় যাচ্ছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। এদিন এগরায় পুরভোটের আগে গিয়ে বিধানসভা ভোটের পর সন্ত্রাস প্রসঙ্গ টেনেও মুখ খোলেন দিলীপবাবু। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘সিবিআই এসেছে। এফআইআর নিচ্ছে মার্ডার কেসে। তদন্ত তো হোক। আমরাও চাই। সত্যটা বেরিয়ে আসুক।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়া নিয়েও জবাব দিয়েছেন দিলীপবাবু। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় তাঁর জবাব, ‘আপনারা জানেন, আমাদের কত জন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ধরে আর ছাড়ে। ভারতীয় জনতা পার্টিতে কোনও গ্রুপ ট্রুপ হয় না।’