মঞ্চেই ৩০০জন, ঠেলাঠেলি দেখে মেজাজ হারালেন মন্ত্রী মলয় ঘটক, 'যোগ্যতা লাগে!'

মঞ্চে এত লোকজনকে দেখে কেন বিরক্ত হলেন মন্ত্রী? তবে কি আগামীদিনে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেটা ভেবেই আগাম সতর্ক হলেন মন্ত্রী? বিগত দিনে দেখা গিয়েছে দুষ্কৃতীরাও মন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে নিয়েছেন। পরে তানিয়েও অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে একাধিক মন্ত্রীকে। তার জেরেই কি আগাম সতর্ক হলেন মন্ত্রী?

মলয় ঘটক। ফাইল ছবি।

আসানসোলের রবীন্দ্রভবনে তৃণমূলের অনুষ্ঠান। রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী হয়েছেন প্রদীপ মজুমদার। তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য়ই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।সেই অনুষ্ঠানে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকও উপস্থিত ছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে ভিড় ভালোই হয়েছিল। তবে শুধু শ্রোতাদের আসনে নয়। অনেকেই উঠে পড়েন মূল মঞ্চে। বিশেষত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা কর্মীরা একেবারে মঞ্চের মধ্যে উঠে আসেন। একেবারে গিজগিজ করছে ভিড়। সেটাও আবার মঞ্চের মধ্যে। আর মঞ্চের মধ্যে এই ঠেলাঠেলি দেখে কার্যত মেজাজ হারান শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। 

তিনি বলে ওঠেন, মঞ্চে উঠতে গেলে যোগ্যতা লাগে। মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, একটা দল, একটা সংগঠন তখনই শক্তিশালী হতে পারে যখন সেই দল বা সংগঠনের মধ্যে শৃঙ্খলা থাকে। আমরা এসেই দেখলাম স্টেজের উপর প্রায় ৩০০ লোক। সেই যোগ্যতা যেদিন অর্জন করবেন সেদিন আপনাদের ডেকে নেওয়া হবে। নিজের সেই স্থান গ্রহণ করার জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

কিন্তু মঞ্চে এত লোকজনকে দেখে কেন বিরক্ত হলেন মন্ত্রী? তবে কি আগামীদিনে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেটা ভেবেই আগাম সতর্ক হলেন মন্ত্রী? বিগত দিনে দেখা গিয়েছে দুষ্কৃতীরাও মন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে নিয়েছেন। পরে তানিয়েও অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে একাধিক মন্ত্রীকে। তার জেরেই কি আগাম সতর্ক হলেন মন্ত্রী? নাকি সামগ্রিক পরিস্থিতি দলের এই বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখে বিরক্ত মন্ত্রী?

এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে ইডির অভিযানের জেরে দলের উপর কতটা প্রভাব পড়বে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এনিয়ে মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, প্রভাব পড়বে না কারণ ভোট মানুষের সমর্থনে হয়। মানুষের সুবিধা, অসুবিধার বিচারে হয়। আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে যে সুবিধা দিতে পেরেছি তা মানুষ উপলব্ধি করতে পেরেছেন।