কাটমানির বিরুদ্ধে এবার সরব হলেন রাজ্যে গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশরের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। মেমারির পলাশবন ২ এলাকায় জনসংযোগ যাত্রায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন,'দলের নেতারা কেউ কাটমানি খাবেন না। আমরা চাঁদা তুলব, বলে তুলব। আলু-পিঁয়াজ দিয়ে খিচুড়ি দিয়ে বানিয়ে খাব। কিন্তু কাউকে কাটমানি খেতে দেব না।'
প্রায় ২১ বছর পর মেরারিতে ব্লক সভাপতি পরিবর্তন হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে মন্ত্রী বলেন,'এখানে প্রায় ২১ বছর পর ব্লক সভাপতির পরিবর্তন হয়েছে। আমি আনন্দিত যে হরিসধান ঘোষের মতো সাধারণ মানুষ ব্লক সভাপতি হয়েছেন। এরকম সাধারণ মানুষ সভাপতি হলে মানুষের সঙ্গে আদানপ্রদান বাড়ে।'
জনসংযোগ যাত্রায় রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক ত্যাগ প্রতীক্ষায় এই দল তৈরি করেছেন। প্রতিটি মানুষের জন্য ৭২ টি প্রকল্প সরকার দিয়েছে। আমি অনুরোধ জানাবো বিশেষভাবে অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মা বোনেদের ভাইদের কাছে, কী পাননি আপনারা বলুন। কী করতে হবে আপনাদের জন্য তা আমাদের বলুন। যে চেয়ারে বসবো তার পাশের আদিবাসীদের জন্য ছেড়ে দেব এই কথা দিয়ে যাচ্ছি। কোন ধরনের বিদ্বেষ হিংসা হবে না এটাও কিন্তু আমরা বলে যাচ্ছি।'
তাঁর বক্তব্যে 'কাটমানি' মন্তব্য প্রসঙ্গে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যু়ঞ্জয় চন্দ্র বলেন, 'তৃণমূলের সঙ্গে মানুষের কোনও সংযোগ নেই, কাটমানি ও তোলাবাজির সঙ্গে আছে। তাই মন্ত্রী প্রতিজ্ঞা করছেন কাটমানি তোলা যাবে না।'